বিএনপির মতো জামায়াতও চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন প্রশাসন, বিচারবিভাগ এবং অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নেওয়া। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ওপরও জোর দিচ্ছে জামায়াত। বলছে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে পুনর্গঠনের কথা।
এ ছাড়া আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় আইনি বিচারের ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। এ বিষয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা ব্যক্তগিতভাবে অপরাধ করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তারা অপরাধী হলে অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত। এটা হচ্ছে ব্যক্তির বিচারের ক্ষেত্রে। আর দল হিসেবে পুরো দলটাই হত্যায় শরীক হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, ‘তাদের মন্ত্রী বলেছেন, ছাত্রদের আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়াল? একটা দল পুরো দায়িত্ব নিয়ে নিল সন্ত্রাস করার এবং সেটিই হলো। অনেক প্রাণ ঝরে গেল। সন্ত্রাসীদের যখন বাহিনী হিসেবে দলীয় ব্যানারে নামিয়ে দেওয়া হলো, তখন বিশ্বের বহু দেশে এমন নজির আছে যে, এমন গণহত্যা যারা করে... তাদের আর সেদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।