যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

সব দল মিলিত হচ্ছে এক মোহনায়

সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন রূপে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো রাজপথেই আছে। বাকি দলগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে পৃথকভাবে আন্দোলন শুরু করলেও সবার লক্ষ্য এক। এমনকি কম সময়ের নোটিশে হঠাৎ করে এক মোহনায় মিলিত হতে পারে সব বিরোধী দল। পর্দার আড়ালে এমন রাজনৈতিক ঐক্য প্রস্তুতি বেশ জোরেশোরেই এগোচ্ছে।প্রথমদিকে কোনো কোনো দল ভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঠে নামলেও একটা পর্যায়ে সবাই একদফা দাবিতে এক কাতারভুক্ত হবে। সরকারবিরোধী এমন বৃহত্তর ঐক্য প্ল্যাটফরমে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির গোপন পদধ্বনিও শোনা যাচ্ছে। পুরোনো মিত্র জামায়াত রয়েছে সামনের সারিতে। ইতোমধ্যে মাঠ সরগরম করেছে চরমোনাই পিরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বসে নেই সিপিবি। তারাও আদর্শিকভাবে আন্দোলনের উত্তাপ বাড়াচ্ছে। এছাড়া অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। মাওলানা মামুনুল হকদের পুনর্বহাল করে পুরোনো নেতৃত্বে হেফাজত শক্তি বৃদ্ধি করছে। রাজনীতির মাঠের এসব সমীকরণ বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, নিকট ভবিষ্যতে মাঠের সব বিরোধী দলকে এক মোহনায় দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এছাড়া বিরোধীদের আন্দোলনের রিমোট কন্ট্রোলের সঙ্গে দেশি-বিদেশি প্রভাবশালী মহলের যোগসূত্রতার বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। এ কারণে রাজনীতি এখন যতটা না প্রকাশ্যে, তার চেয়ে বেশি ঘনীভূত হচ্ছে অন্দরমহলে। সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আলাদাভাবে আন্দোলন করছে। তবে একটা সময় হয়তো সবাই একই মোহনায় আসতে পারে। অতীতে রাজনৈতিক দল কম ছিল। তাদের এক জায়গায় আসা সহজ ছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তাই সবাইকে ঐকমত্যে আসাটা কঠিন হবে। তা সত্ত্বেও একমঞ্চে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেরকম হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। সবাই যদি একমঞ্চে আসতে পারে তবে সরকার অনেক বেশি বেকায়দায় পড়বে।অপশাসন, দলীয়করণ, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে এ সরকারের ওপর মানুষ চরম ক্ষুব্ধ। দেশের বেশির ভাগ মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ভয়ভীতি দেখিয়ে সবার মুখ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আমরা ৩৭ দল যুগপৎ আন্দোলন করছি। বেশির ভাগ দলই এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে তারাও রাজপথে নামছে। যারা এখনো নামেনি, জনগণের চাপে তারাও নামতে বাধ্য হবে।বিএনপি ও সমমনাদের পাশাপাশি রাজপথে নামছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছে। নিত্যপণ্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিসহ জনজীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করবে দলটি। শনিবার এক যৌথ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রাজপথে সক্রিয় থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিদেশিরা নির্বাচন নিয়ে কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের মানুষ কী বলছে, সেটিই বড় কথা।