ধর্মীয় ও পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। ইসলাম ধর্মে তো বটেই, অন্য ধর্মেও বিয়ের সমানভাবে গুরুত্ব রয়েছে। বরং ইসলাম তো বিয়েকে ইবাদত হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে। পৃথিবী আবাদ রাখার সঠিক ও সুশৃঙ্খল বৈধ ব্যবস্থা হচ্ছে বিবাহ। মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে স্বভাবজাতভাবে তারা সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে অভ্যস্ত। একাকী জীবন যাপন করা তাদের পক্ষে অসম্ভবপ্রায়। তাই যাপিত জীবনে প্রয়োজন পড়ে এমন কিছুূ মানুষের, যারা হবে নিঃসঙ্গের একান্ত সঙ্গী। একাকীত্বের করবে নিরসন। তৈরী করবে মনপ্রাণ খুলে কথা বলার উপযুক্ত জায়গা। আর তা হয়ে ওঠে একমাত্র বিবাহত্তোর জীবনে।
অন্ন-বস্ত্র,বাসস্থান ও চিকিৎসা যেভাবে মানবজীবনে অতি প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন রয়েছে যৌবনদীপ্ত মানুষের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করার লক্ষ্যে বৈবাহিক জীবনের। যেমনিভাবে মানুষের পেটের ক্ষুধা রয়েছে, তেমনি ভরা যৌবনের যুবকদের রয়েছে যৌন ক্ষুধা। যা নিবারনের একমাত্র মাধ্যম হলো বিবাহ। বিবাহ মানুষকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল একটি জীবন উপহার দেয়। হৃদয়ে স্থিরতা, মনে প্রফুল্লতা, চরিত্রে পবিত্রতা ও বংশে আভিজাত্য এবং যাপিত জীবনে অনাবিল সুখ বয়ে আনে। নারী-পুরুষের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার একমাত্র বিধিবদ্ধ শরীয়তসিদ্ধ সার্বজনীন ব্যবস্থা হলো বিয়ে। কুদৃষ্টি ও দূশ্চরিত্র থেকে মুক্ত রাখে নারী-পুরুষকে এ বিয়ে। প্রেমাষ্পদ বাড়তে থাকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, পরষ্পর প্রীতির বন্ধন বিয়ে ছাড়া অন্য কোথাও দেখা যায় না। (সহীহুল জামে-২৫০০)।