
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার, মিসর ও তুর্কি নেতাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির অঙ্গীকার করেছেন।ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলি এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। হামাস ২০ জন জীবিত জিম্মি এবং চারজন মৃত জিম্মির মৃতদেহ ইসরায়েলে ফিরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই এটি করা হয়।স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা বুঝতে পারি যে স্থায়ী শান্তি এমন হবে যেখানে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি উভয়ই তাদের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষিত, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের মর্যাদা সমুন্নত রেখে উন্নতি করতে পারবে।এতে আরও বলা হয়, আমরা অঙ্গীকার করছি- ভবিষ্যতের যেকোনো বিরোধের সমাধান হবে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে, শক্তি প্রয়োগ বা দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের মাধ্যমে নয়। আমরা স্বীকার করছি যে, মধ্যপ্রাচ্য আর দীর্ঘ যুদ্ধ, অচলাবস্থায় আটকে থাকা আলোচনা, কিংবা অসম্পূর্ণ ও বাছাই করে বাস্তবায়িত চুক্তির বোঝা বহন করতে পারে না।এদিকে, চুক্তি মতে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে প্রায় ২ হাজার বন্দী ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ১৫৪ জনকে মিসরে নির্বাসিত করা হয়েছে।
হামাসও গাজায় আটক সব জীবিত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে এবং আরও চারজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে।জীবিত জিম্মিদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে পুনর্মিলনের কয়েক ঘন্টা পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি সংসদে ভাষণ শেষ করে মিশরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প শীর্ষ সম্মেলনে বলেন, এখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আছে।তিনি বলেন, পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হলো দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজা পুনর্নির্মাণ।ট্রাম্প আরও বলেন, আমাদের জীবনে একবারই সুযোগ এসেছে পুরনো দ্বন্দ্ব এবং তীব্র ঘৃণাকে পেছনে ফেলার। আমাদের ভবিষ্যৎ অতীত প্রজন্মের লড়াই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না।শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান পুনর্নবীকরণের জন্য এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিলেন।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ৮৬৯ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ ৭০ হাজার ১০৫ জন আহত হয়েছেন।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দী করা হয়।