পাকিস্তানে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত অন্তত ২৫লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ১৫৮ স্ক্যানার মেশিনগাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশু, সাংবাদিকসহ ১০৫ জন নিহতনির্বাচনে বাধা দেওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, আরও আসবে: প্রধান উপদেষ্টাডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি আজ
No icon

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশু, সাংবাদিকসহ ১০৫ জন নিহত

গাজা শহরের উপর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অবিরাম আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও শহরটি দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে হামলার তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে।নতুন করে হামলায় ১০৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেক ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।গতকাল মঙ্গলবার গাজার আল-সাব্রা পাড়ায় ভয়াবহ আক্রমন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে চলমান হামলায় এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটি এখন যুদ্ধের এক সিদ্ধান্তমূলক পর্যায়ে রয়েছে।আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খৌদারি গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে জানান, ফিলিস্তিনিরা এখন গাজা শহরে খাঁচার ভেতর আটকে থাকার মতো অবস্থায় আছেন। তারা যতটা সম্ভব বিমান হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা যেদিকেই যাচ্ছেন, হামলা তাদের অনুসরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, হামলার পাশাপাশি খাদ্য ও ত্রাণ অবরোধের কারণেও প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে অনেক ফিলিস্তিনির। কারণ বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম জিনিসগুলোও তাদের নাগালে নেই। ফিলিস্তিনিরা এখন একদিকে লক্ষ্যভিত্তিক হামলা, আরেকদিকে অনাহারের হুমকির মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াই চালাচ্ছে।গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে আরও অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধাজনিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬১ জনে। এর মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে গত ২২ আগস্ট। যখন বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিশ্চিত করেছিল তার পর থেকে এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার নিহতদের মধ্যে ছিলেন অন্তত ২১ জন, যাদের মধ্যে সাতজন শিশু। তারা দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসি এলাকায় পানির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান।ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল অনলাইনে যে ছবিগুলো প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা গেছে- সেই হামলার স্থানে শিশুদের মরদেহ ও পানির পাত্র রক্তে ভেসে আছে। যেটিকে এর আগে ইসরায়েল তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করেছিল।

বাসাল বলেন, তারা পানির লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল ঠিক তখনই দখলদার বাহিনী সরাসরি তাদের লক্ষ্যবস্তু বানায়। জীবনের খোঁজে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের ওপর হামলা চালিয়ে নতুন হত্যাযজ্ঞের সূচনা করা হচ্ছে এছাড়া গাজা শহরে এক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার কর্মকর্তারা।সর্বশেষ হামলায় আল-মানারার রাসমি সালেম এবং ইমান আল-জামলি নামের আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ২৭০-এর বেশি হয়েছে।গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো গাজায় চলমান যুদ্ধকে ইতিহাসে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছে।