ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা ও আনাদলু।এদিকে, হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। প্রায় ৮৫ শতাংশ গাজাবাসী খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যেখানে ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এমনটাই বলছে জাতিসংঘ।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকায় পরিবারগুলোর ওপর আটটি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শর বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।মাঝে গত বছর নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ছিল। যে সময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি প্রায় দুইশ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে হামাস শতাধিক জিম্মিকে ছেড়ে দেয়।
বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা করা হলেও তাতে খুব একটা অগ্রগতি হচ্ছে না। কারণ, হামাস বলেছে, গাজা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ এবং সেখান থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করার শর্ত মানলেই কেবল তারা নতুন যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছে। এদিকে, ইসরায়েল বলেছে, হামাসকে গাজা থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে। ইসরায়েল তাদের এ প্রতিজ্ঞায় অনড় রয়েছে এবং গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।