যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষায় কোনো সামরিক জোটে যোগ দেওয়া থেকেও বিরত থাকবে। গতকাল শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক এক সেমিনারে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা জানান। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারনাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) সেমিনারটির আয়োজন করে।পররাষ্ট্রসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সহযোগিতাকে খুব গুরুত্ব দেয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার নতুন পথ খোলার প্রচেষ্টা চালাব।একই সঙ্গে আমরা বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারির মাধ্যমে এই অঞ্চলে সক্রিয়ভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করব। তিনি বলেন, আমরা যেকোনো সামরিক জোট থেকে দূরত্ব বজায় রাখব। আমরা অপ্রচলিত নিরাপত্তাবিষয়ক যেকোনো গঠনমূলক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকব। এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে।
পররাষ্ট্রসচিব এমন একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের কথা বলেছেন, যখন বাংলাদেশ ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারি সংলাপসহ কয়েকটি বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব বৈঠক সামনে রেখে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চায়। যুুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া) ও অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্টের (আকসা) স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে।পররাষ্ট্রসচিব সেমিনারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিটি বৈঠক বা সম্ভাব্য যেকোনো সুযোগে র;্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশ তুলছে এবং ভবিষ্যতেও তুলবে। বাংলাদেশ বলছে, ওই নিষেধাজ্ঞা অযৌক্তিক। স্বার্থান্বেষী মহলের দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ ও অতিরঞ্জিত তথ্যের ভিত্তিতে ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।