ইউক্রেনের সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পোল্যান্ড। এরই মধ্য়ে সীমান্তবর্তী বেশ কিছু শহরে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা সম্ভাব্য শরণার্থীদের আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রও প্রস্তুত করা হচ্ছে।সকল শহরের মেয়রদের শরণার্থী কেন্দ্রে রূপ দেয়া যেতে পারে, এমন সম্ভাব্য সব ভবনকে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে পোলিশ সরকার। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের শহর প্রজেমিসাল শহরের মেয়র ভয়েটশেখ বাকুন জানান, রাষ্ট্র শরণার্থীদের ব্যয়ভার গ্রহণের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সম্ভাব্য শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে সংস্কারের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি।বাকুন অবশ্য ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তেমন একটা দেখছেন না। তিনি বলেন, আমি আশা করি খারাপ কিছু ঘটবে না। আমার মনে হয় সত্যি সত্যি আক্রমণ করার চেয়ে অন্যদের মনে ভয় তৈরি করাই রাশিয়ার আসল উদ্দেশ্য।ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে পোলিশ সরকারের কোনো প্রস্তুতি না থাকার সমালোচনা করেছেন দেশটির অনেক নাগরিক। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী মাচেই ভাসিক বলেছেন, আমরা নীরবে কাজ করে চলেছি। কিন্তু মানুষের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে চাইনি বলে আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছি না।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাটেউশ মোরাভিয়েস্কি সম্ভাব্য শরণার্থীরা যাতে যানবাহন, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক সেবা নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান। পরিবার ও সামাজিক নীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের শরণার্থী শিশুদের সেবা ও মানসিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।রাষ্ট্রীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া মন্তব্যে পোল্যান্ডে কয়েক কোটি ইউক্রেনীয় শরণার্থী আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্ডজেই ডুডার স্বরাষ্ট্র সচিব আন্ডজেই ডেরা। তিনি বলেন, পোল্যান্ড যত বেশি সম্ভব শরণার্থী গ্রহণ করবে, কিন্তু সবাইকে নেয়া হয়তো সম্ভব হবে না।নতুন আসা শরণার্থীদের অনেকে স্থায়ী বসবাসের জন্যও পোল্যান্ডকে বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে দেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনিয়ান বাস করেন। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং পরবর্তীতে ডোনবাস এলাকায় যুদ্ধ শুরুর পর তারা পোল্যান্ডে পালিয়ে আসেন।