স্কুলে হিজাব পরে না-আসার নির্দেশ দেওয়ায় প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সেখানে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সুতি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। অভিভাবকদের দাবি, স্থানীয় বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক দীনবন্ধু মিত্র ছাত্রীদের হিজাব পরে স্কুলে না-আসার নির্দেশ দেন। মাথায় ওড়নাও না দিতে বলেন তিনি। প্রধানশিক্ষকের নির্দেশের কথা বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানান শিক্ষার্থীরা। তাতেই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা স্কুলে গিয়ে নির্দেশিকা জারি করায় প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এ সময়ে মারধরও করা হয় তাকে।
পুলিশ আসলে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এরপর অবরুদ্ধ প্রধানশিক্ষককে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক হিমাণী বিশ্বাসও। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনায় কর্নাটকের মুসলিম ছাত্রীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কলকাতায়ও বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। পার্ক সার্কাসে হাজার হাজার মুসলিম শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ সময়ে হিজাব আমাদের অধিকার বলে তারা স্লোগান দেন। শবনম খাতুন নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা হিজাব পরতে চাই। তাতে তাদের আপত্তি কেন? হিজাব আমাদের প্রগতির পথে অন্তরায় না। কীভাবে অধিকার আদায়ে লড়াই করতে হয়, তা আমরা জানি। তিনি বলেন, মুসলিম ছাত্রীরা সব দিক থেকে এগিয়ে। তারা প্রকৌশলী, বিমানচালক ও পুলিশ সার্ভিসেও কাজ করেন। হিজাব আমাদের পরিচয়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা নিষিদ্ধ করতে পারে না।