আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস আজ (২৬ জানুয়ারি)। যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দিবসটি পালন করবে। এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য তথ্য সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ।এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, করোনাকালীন ডিজিটাল ফ্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কীভাবে কাস্টমস সেবা আরও উন্নত করা যায়, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সেমিনার-মতবিনিময় সভাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।তিনি বলেন, করোনাকালীন সীমিত জনবল দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার ব্যাপারে এনবিআর অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে গেছে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কোনোভাবে যেন ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রহমাতুল মুনিম বলেন, কাস্টমস হাউজে পণ্য ছাড়করণ বা রাজস্ব কর্মকর্তার দ্বারা কোনো ব্যবসায়ী হয়রানি হয়েছেন, এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, ভুক্তভোগিকে বলবো অভিযোগ দেন। আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রাজস্ব আহরণে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণে আমদানি ও রপ্তানিতে আমাদের যে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে সেটা সক্রিয় বিবেচনায় আছে। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো সাব-কমিটি করা হয়েছে তারাও কাজ করছে।তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিটি ধাপেই অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। কাস্টমসের আয় কমে আসবে। কাস্টমসের আয় হ্রাস সেটা অভ্যন্তরীণ ভ্যাট ও আয়কর থেকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমরা সেই জায়গাটাকে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।