ঢাকায় আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা, যেমন থাকবে তাপমাত্রাঢাকার রাস্তায় গতি বেড়েছেন্যায়বিচারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরেক মাস বাড়লবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তায় ফের পানি বৃদ্ধি, বন্যার শঙ্কা
No icon

নির্বাচন নিয়ে যা জানাল উপদেষ্টারা

গণ আন্দোলনের মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নতুন যে সরকার শপথ নিয়েছে, সেখানে উপদেষ্টা হিসেবে আছেন ১৬ জন, যদিও আপাতত শপথ নিয়েছেন ১৩ জন, তিনজন ঢাকায় নেই, তারা পরে শপথ নেবেন। এদিকে শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কয়েকজন উপদেষ্টা, সেখানে সরকারের মেয়াদ সংক্রান্ত প্রশ্নে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সংস্কার , রাষ্ট্র রূপান্তর এর কথা বলেন তারা।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে দেশ পরিচালনার উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পাওয়া নাহিদ ইসলাম দ্রুত নির্বাচন প্রশ্নে বলেন, অবশ্যই, এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা। তবে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ অনেকদিন ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত । ফলে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এ সরকার কাজ করবে। কিন্তু তার আগে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার করা। না হলে জনগণের অধিকার লঙ্ঘন হবে।সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়ে তিনি বলেন, গত রেজিমে (সরকারের মেয়াদে) যারা গুম, খুন, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচার করা এবং ইমিডিয়েটলি আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জন দুর্ভোগ দূর করা। এই কাজগুলো এ সরকারে প্রথম কাজ হবে। আমরা বলেছিলাম যে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কাজটি করতে হবে। রাষ্ট্রের সংস্কার কাজটি করতে হবে। পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। যেমন সরকারে ভেতর ছাত্রদের নেতৃত্ব থাকবে, সকল কাজেও আমাদের উপস্থিতি থাকবে। সামগ্রিকভাবে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে নিজেদের কাজে লাগাব।

নতুন সরকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সকলের সম্মতিতে একটি সরকার গঠন করতে পেরেছি বলে মনে করি, যেটি সারাদেশের জনগণকে সাদরে গ্রহণ করতে হবে।শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ ও দুর্নীতি প্রশ্নে আসিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের যে কমিটমেন্ট ছিল, যিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন, আমরা তার সাথে কথা বলে, তার সাথে বসে কমিটমেন্টগুলো সর্বপ্রথম পূরণ করব। এছাড়া আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে অনেক কোয়েশ্চেন আছে, যিনি এ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরু দায়িত্ব পাবেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর পক্ষ থেকে তার সাথে আলোচনার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের যে দাবিগুলো রয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের যে কমিটমেন্ট রয়েছে সেগুলো পূরণে দ্রুত সচেষ্ট হব।বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে কি না, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, দেখুন এটি একটি পলিসিগত বিষয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা রিসার্চ টিম করে এ ব্যাপারটার একটা কাঠামোগত এবং ভালো সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকটিভিজম করতে গিয়ে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির খারাপ দিক দেখেছি, আমাদের আন্দোলনেও ছাত্রলীগ তার জাতীয় সংগঠনের স্বার্থ বাস্তবায়নে হামলা করে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সেই লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়েছিলাম, কিন্তু বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করব একটি সুষ্ঠু, খুব ভালোভাবে রিসার্চ করার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতির এ বিষয়টি কীভাবে চূড়ান্ত সমাধান করার দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা পলিসি নেয়ার চেষ্টা করব।উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজকে তারা (তরুণরা) নিজেদের প্রাসঙ্গিক প্রমাণ করেছে। আমি আশা করব, নিশ্চয় তারাই দায়িত্ব এক সময় না এক সময় নেবে এবং বলেই তো, আজকের তরুণ আগামী দিনের নেতা।