কোটি টাকা ভিত্তিমূল্য ধরে রাজধানীর পূর্বাচলের ১৩৮টি বাণিজ্যিক প্লট ৯৯ বছরের জন্য নিলামে বরাদ্দ দিতে চায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এসব প্লট ৯৯ বছরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। ৬টি প্লট নির্ধারিত থাকবে ফিলিং স্টেশনের জন্য।পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বিভিন্ন সেক্টরে অবস্থিত এসব প্লটের সর্বোচ্চ আয়তন ৪১ দশমিক ২৭ কাঠা। সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৪৯ কাঠা। তবে ১০ কাঠা আয়তনের প্লটের সংখ্যা বেশি। দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) দিয়ে ফরম কেনা যাবে।দরপত্রে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে রাজউক। কেউ নিলামে অংশগ্রহণ করতে চাইলে প্লটটি পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে রাজউকের সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়মে নিলাম হবে। সেখানে যে সর্বোচ্চ দাম দেবে সেই প্রতিষ্ঠানই পাবে। রাজউক কাঠাপ্রতি ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে ১ কোটি টাকা। আমাদের প্রত্যাশা, মানুষ এই নিলামে অংশগ্রহণ করবে। কারণ এটি একটি পরিকল্পিত শহর। যত দিন যাবে এখানকার প্লট আরও মূল্যবান হবে।নিলামে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চার অফিসে নিলাম বক্স রাখা হবে বলে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, নিলামের একটি বক্স থাকবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে, একটি রাজউক ভবনে, একটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে। আর একটি থাকবে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে। কাজেই এখানে কেউ টেন্ডার বক্স দখল করে রাখবে, সেটা হবে না।
নিলামে অংশগ্রহণের পর নির্বাচিত সর্বোচ্চ দরদাতাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ অর্থ ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধ করতে হবে।নিলামে প্লট হস্তান্তর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- সম্পূর্ণ মূল্যে পরিশোধ করার পর নিলামগ্রহীতার নিকট প্লটটি হস্তান্তর করবে রাজউক। তবে নিলামগ্রহীতার কারণে প্লট হস্তান্তর বিলম্ব হলে নিলামকৃত প্লটটির বরাদ্দ বাতিল বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে প্রদত্ত সমুদয় টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। অন্যদিকে যদি অনিবার্য কারণবশত রাজউক প্লট হস্তান্তরে অপারগ হয়, তবে সে ক্ষেত্রে সমুদয় অর্থ কোনো লভ্যাংশ দাবি কিংবা ক্ষতিপূরণ ছাড়া ফেরত দেওয়া হবে।চূড়ান্ত বরাদ্দ পাওয়ার পর রাজউকের সঙ্গে প্লট প্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হবে। এতে সম্পত্তির নীতিমালা ও শর্তসমূহ উল্লেখ থাকবে। জমি কম-বেশি হলে প্রদত্ত উদ্বৃত্ত মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।আজ মঙ্গলবার রাজউক ভবনের সরকারি তফসিলী ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ব্যাংক থেকে ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) মূল্যে দরপত্র গ্রহণ করা যাবে। দরপত্র বিক্রির শেষ সময় ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এবং জমার শেষ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা। একই দিন অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ২টায় রাজউক ভবনে দরপত্র খোলা হবে। তবে রাজউক চাইলে জমা ও বিক্রির সিডিউল পরিবর্তন করতে পারে।কোন সেক্টরে কত প্লট : ২নং সেক্টরে ১০টি, ৩নং সেক্টরে ৬টি, ৪নং সেক্টরে ৭টি, ৫নং সেক্টরে ৬টি, ৭নং সেক্টরে ১২টি, ৯নং সেক্টরে ১০টি, ১০নং সেক্টরে ৪টি, ১১নং সেক্টরে ৫টি, ১৬নং সেক্টরে ৮টি, ১৮নং সেক্টরে ৭টি, ২০নং সেক্টরে ১০টি, ২১নং সেক্টরে ৮টি, ২৩নং সেক্টরে ১১টি, ২৬নং সেক্টরে ৮টি, ২৮নং সেক্টরে ৬টি, ২৯নং সেক্টরে ৮টি।ফিলিং স্টেশনের জন্য নির্ধারিত প্লট : ৩নং সেক্টরে, ৫নং সেক্টরে, ১১নং সেক্টরে, ১৩নং সেক্টরে এবং ৩০নং সেক্টরের প্লট ফিলিং স্টেশনের জন্য নির্ধারিত থাকবে।