যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

এসএসসি-এইচএসসি নিয়ে একগুচ্ছ বিকল্প চিন্তা

এবারের এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়েই গ্রেড নিতে হবে। করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে এই প্রক্রিয়া। গত বছরের মতো অটোপাশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞদের কাজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকরা একাধিক বৈঠক করেছেন। এই কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের (বেডু) বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে সৃষ্ট উদ্বেগ দূর করার পাশাপাশি বিকল্প পন্থা ও এ সংক্রান্ত রোডম্যাপ জনসমক্ষে প্রকাশের লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি যে কোনোদিন সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার যুগান্তরকে বলেন, আমাদের এখন পর্যন্ত চিন্তা হচ্ছে, ঘোষিত সিলেবাসের আলোকে নির্ধারিত ক্লাস করানোর পর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে পাশাপাশি বিকল্প চিন্তাও চলছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, মূল্যায়ন করেই শিক্ষার্থীদের গ্রেড দেওয়া হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কীভাবে সেই মূল্যায়ন করা যায় এবং এ ক্ষেত্রে যত রকম বিকল্প আছে সবগুলো নিয়েই বিশ্লেষণ চলছে। আমাদের জন্য উপযোগীটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত আকারে গ্রহণ এবং পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।নাম প্রকাশ না করে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা  জানান, ওই কমিটির একাধিক প্রস্তাব আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন (সিকিউ) বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেওয়া। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া। এ ক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একটিতে একীভূত করা।