৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরাসৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিদেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
No icon

ভুয়া শিক্ষকদের পকেটে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা

ঢাকার হাম্মাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে প্রায় এক যুগ শিক্ষকতা করেন। মহসিন নামের অপর ব্যক্তির সনদও জাল করেছিলেন তিনিই।২০০৮ সাল থেকে এ শিক্ষক সরকারি বেতন-ভাতা (এমপিও) গ্রহণ করেন। এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিস থেকে ১৫ নভেম্বর স্কুলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদিকে পটুয়াখালীর ধুলিয়া হাইস্কুল ও কলেজের প্রভাষক অজয় কৃষ্ণ দাসও জাল সনদে চাকরি নেন। তিনি এমপিও হিসাবে সরকারি কোষাগার থেকেই ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫০ টাকা গ্রহণ করেছেন। দুমকির জয়গুনেনেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদাও জাল নিবন্ধন সনদে চাকরি নিয়ে ৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা বেতন নিয়েছেন। জালিয়াতি ধরা পড়ার পর এ তিন শিক্ষকই পদত্যাগ করে চলে গেছেন।

শুধু এ তিনজনই নন, সরকারের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) এ পর্যন্ত ১৫৭৭ জন শিক্ষককে চিহ্নিত করেছে যাদের কেউ নিবন্ধন সনদ আবার কেউ বিভিন্ন স্তরের একাডেমিক, ডিপ্লোমা ও পেশাগত সনদ জাল করে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় চাকরি নিয়েছেন। এসব শিক্ষক সরকারি কোষাগার থেকে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা এমপিও হিসাবে নিয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সালের ফেব্রয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তদন্ত চালিয়ে সংস্থাটি এ তথ্য বের করেছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংস্থাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করে। ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, সারা দেশে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। সব প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন ও তদন্ত করা গেলে ভুয়া সনদে নিযুক্ত আরও শত শত শিক্ষক শনাক্ত হবেন। জনবল সংকটের কারণে প্রত্যাশিত পর্যায়ে তদন্ত করা যাচ্ছে না। জাল সনদে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে তারা সাধারণত সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।