যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

আমদানি কমে যাওয়ার ধারা অব্যাহত

ডলার না পাওয়ায় চাহিদামতো এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। সব মিলিয়ে পণ্য আমদানি কমার ধারা এবারও অব্যাহত আছে। গত অর্থবছর আমদানি প্রায় ১৬ শতাংশ কমে। চলতি বছরের প্রথম মাস জুলাইতেও একই ধারা রয়েছে। ওই মাসে আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছে এমন পণ্যের ব্যয় কমেছে ৩১ শতাংশ। আর নিষ্পত্তি কমেছে ২০ শতাংশের বেশি।ডলার সংকট শুরুর ফলে গত বছরের জুলাই থেকে আমদানি নিয়ন্ত্রণ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিছু পণ্যে শতভাগ পর্যন্ত এলসি মার্জিন নির্ধারণ এবং প্রতিটি এলসি ধরে ধরে যাচাই করা হচ্ছে। আবার কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে গত বছরের জুলাই থেকে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কমতে থাকে।এলসি খোলা আরও কমার মানে হলো অর্থনীতিতে স্থবিরতা বাড়ছে। ডলার ও টাকার সংকটের পাশাপাশি নির্বাচনের বছর হওয়ায় এখন অনেকে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এমনিতেই এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে। কর্মসংস্থানমূলক বিনিয়োগ না এলে আগামীতে অর্থনীতিতে স্থবিরতা বাড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য মাত্র ৪৩৭ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৫৯৮ কোটি ডলারের। আগের বছরের একই মাসে যেখানে ৬৩৫ কোটি ডলারের এলসি খোলা এবং ৭৪৯ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম মাসে এলসি খোলা বেশি কমেছে পেট্রোলিয়াম পণ্যের। জুলাইতে মাত্র ৪৮ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের বছরের একই মাসে এর পরিমাণ ছিল ১১০ কোটি ডলার। এলসি খোলা কমার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল। এই পণ্যের এলসি ৩৬ শতাংশের বেশি কমে ১৩৫ কোটি ডলারে নেমেছে। আর শিল্পে ব্যবহৃত প্রাথমিক পণ্যের এলসি প্রায় ৩১ শতাংশ কমে ৩২ কোটি ডলারে নেমেছে। মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি ২২ শতাংশ কমে ১৮ কোটি ডলারে নেমেছে। ভোক্তাপণ্যের এলসি ২১ শতাংশ কমে ৪৭ কোটি ডলারে নেমেছে। অন্যান্য পণ্যের এলসি ১৮ শতাংশ কমে খোলা হয়েছে ১৪৯ কোটি ডলারের।