যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

শিল্প ঘোষণার পরও বিধিমালা নিয়ে গড়িমসি

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের শেষ দিকে রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সে বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২-এ রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে ঘোষণার প্রায় এক বছর (১১ মাস) পেরিয়ে গেলেও এখনো হয়নি এ শিল্পের বিধিমালা। এমনকি রেস্তোরাঁ শিল্পের অংশীজনদের নিয়ে এখনো কোনো বৈঠকও করেনি শিল্প মন্ত্রণালয়। ফলে শিল্পঘোষিত খাতটি অবহেলিতই রয়ে গেছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্টরা।এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান   বলেন, আমরা শুধু ঘোষণা শুনেছি যে এ খাত শিল্প হয়েছে। তবে গত প্রায় এক বছরেও শিল্পটির বিধিমালা নিয়ে কোনো কাজ হয়নি। এমনকি কোনো মালিক বা সমিতির সঙ্গে একটি বৈঠকও হয়নি। ফলে খাতটি এখনো শুধু শিল্প ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।তিনি বলেন, বিগত দিনে আমরা শিল্প সচিবের সঙ্গে মিটিং করতে গিয়েছি। কিন্তু সেটা বাতিল করা হয়েছে। 

পরে মিটিংয়ের জন্য আমাদের কোনো সময় দেওয়া হয়নি, কেউ আমাদের সঙ্গে বসেওনি। আমরা দ্রুত শিল্পের নীতিমালা বাস্তবায়ন চাচ্ছি। এ নিয়ে সরকারের গড়িমসি রয়েছে। এতে দিন শেষে শিল্পটিরই ক্ষতি হচ্ছে।রেস্তেরাঁকে শিল্প ঘোষণা করার সময় খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছিলেন, শিল্প হিসেবে ঘোষণা করায় হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিদ্যমান অনেক সমস্যা সমাধান হবে। বর্তমানে এ শিল্প যে অবস্থায় রয়েছে, আগামী ১০ বছরে তা আরও তিনগুণ বাড়বে। বিশ্বজুড়ে এখন রেস্তোরাঁ শিল্প সম্ভাবনাময় খাত। ভবিষ্যতে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মত এ অঞ্চলের মানুষও রেস্তোরাঁনির্ভর জীবনযাপন করবে। সেভাবেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও অভ্যাস গড়ে উঠছে।ইমরান হাসান বলেন, সরকার রেস্তোরাঁ শিল্পে সুনজর দিলে আগামীতে এ খাত থেকে বাংলাদেশ প্রচুর সংখ্যক প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারবে। সেটি দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। আবার বিদেশফেরত অনেক প্রবাসীও এখন এ খাতে জড়িয়ে পড়ছেন, ব্যাক টু ব্যাক শিল্পের মত। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে রেস্তোরাঁ শিল্প থেকে সেবাখাতে বিশ্বব্যাপী দুই কোটি দক্ষ কর্মী তথা বিপুল জনশক্তি রপ্তানি সম্ভব।