আগামী ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া ১২ মে এসএসসির ফল প্রকাশ: ঘরে বসেই জানা যাবে টানা ১১ বার সিআইপি মহিউদ্দিন মোনেমঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিলছয় মাস পর আজ বিএনপির সমাবেশ
No icon

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিশ্চিত করতে হবে নিরাপদ খাদ্য

প্রতি জুমার নামাজের সময় অন্তত দুই মিনিট নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য মসজিদের খতিবদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট জাতি দরকার। সেজন্য খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদন থেকে ভোগ পর্যন্ত খাদ্য নিরাপদ রাখতে ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই।বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে এবং পোশাক-আশাকসহ অনেক ক্ষেত্রেই স্মার্ট হয়েছে। খাদ্যের বিষয়ে স্মার্ট হয়ে ওঠেনি।এক্ষেত্রে সরকারের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। উৎপাদন থেকে খাবার টেবিলে আসা পর্যন্ত নানাভাবে খাদ্য অনিরাপদ হতে পারে। এ জন্য ব্যক্তিসচেতনতা জরুরি। মানুষের চকচকে চাল পছন্দ মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে বছরে চার কোটি টন ধান ক্রাশিং হয়। মিল মালিকদের হিসাবে, চাল চিকন করার সময় চালের উপরিভাগের চার-পাঁচ শতাংশ হাওয়া হয়ে যায়। সে হিসাবে, বছরে প্রায় ১৬ লাখ টন চাল হাওয়া বা নষ্ট হয়ে যায়। এ চাল নষ্ট না হলে বিদেশ থেকে আমদানি করা লাগত না।

তিনি বলেন, যারা খাদ্য উৎপাদন করেন, তাঁদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। খাবার উৎপাদন করে অনেকে নিজে খেতে চান না, বিক্রি ঠিকই করেন। এটি খুবই অনৈতিক কাজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, পুষ্টির বিষয়ে অনেক মানুষের সঠিক ধারণা নেই। সুষম পুষ্টিকর খাদ্য না খেয়ে মানুষ অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেট খাচ্ছে। বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে এগিয়ে আছে। মানুষ সবজি খেতে চায় না।তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল মেশানোর কারণে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, পৃথিবীতে যত মানুষ খাবার না খেয়ে মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় অনিরাপদ খাবার খেয়ে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। এছাড়াও বক্তব্য দেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার প্রমুখ।