দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলবিএনপির আরও চার নেতাকে বহিষ্কারবিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল রিলাক্স পরিবহনের বাস, নিহত ৫ আহত ১৫
No icon

দ্রুত বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে মুহূর্তেই দেওয়া যাচ্ছে কেনাকাটার বিল। যে কারও অ্যাকাউন্টে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠানো যাচ্ছে টাকা। কেবল নিজ ব্যাংকের নয়, অন্য ব্যাংক এমনকি এমএফএসের গ্রাহককেও দ্রুত পরিশোধ করা যাচ্ছে। একসময় এ নিয়ে মানুষের মাঝে অনীহা থাকলেও সহজ, দ্রুত এবং খরচ কম হওয়ায় অনেকেই এখন এ মাধ্যম বেছে নিচ্ছেন। গ্রাহক আকর্ষণে নানা প্রচারণা ও নতুন পণ্য নিয়ে আসছে ব্যাংক। দ্রুত বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক ও লেনদেন।ব্যাংকাররা জানান, মানুষের অনীহা বেশি কেটেছে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি থাকার পর। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের অন্যতম অনুষঙ্গ অ্যাপভিত্তিক লেনদেনকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চালু করেছে বাংলা কিউআর নামে আন্তঃব্যাংক লেনদেন ব্যবস্থা। এ মাধ্যমে যুক্ত ব্যাংক বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের গ্রাহক যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কিউআর (কুইক রেসপন্স) থেকে মুহূর্তেই পরিশোধ করতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বজনীন লেনদেন প্ল্যাটফর্ম বাংলা কিউআরে লেনদেন দ্রুত বাড়ছে। গত রোববার এ ব্যবস্থায় ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ হয়। শুরুর দিন পরিশোধ ছিল মাত্র ১২ হাজার ৭০৮ টাকা। নগদ লেনদেন কমাতে বড় শপিংমল ছাড়াও ফুটপাতের দোকান, মুদি দোকান, রাস্তার পাশে চা, জুতাপলিশ কিংবা ঝাল-মুড়ি বিক্রেতার কাছেও কিউআরে পরিশোধের সুযোগ মিলছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ৮২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে ৩৩ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা হয়েছে। আর করোনা শুরুর বছরের জানুয়ারির তুলনায় বেড়েছে ২৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা বা ৪০৯ শতাংশ। করোনা শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যা ছিল ৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। লেনদেনের সঙ্গে গ্রাহকও বাড়ছে দ্রুত। চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে মোট নিবন্ধিত গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২১ জন। গত বছরের জানুয়ারি শেষে যা ছিল ৪৫ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৫ জন। গত এক বছরে বেড়েছে প্রায় ১৯ লাখ বা ৪১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর করোনা শুরুর বছর ২০২০ সালের জানুয়ারির তুলনায় বেড়েছে ৩৯ লাখ ১৬ হাজার বা ১৫৬ শতাংশ। করোনার আগের বছর ২০১৯ সালের জানুয়ারি শেষে যেখানে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মোট গ্রাহক ছিল ২০ লাখ ৫ হাজারের কম।

রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে যানজট ঠেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হয়। এতে সময় ও টাকা খরচ হয়। আবার নগদ অর্থ বহনে ঝুঁকিও থাকে। এসব কারণে মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে। এ উপায়ে একজন আরেকজনকে খুব সহজে নিজের পছন্দমতো সময়ে টাকা পাঠাতে পারেন। এমনকি কোনো ধরনের কার্ড ছাড়া টাকা উত্তোলন করা যায়। আবার নিজের অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স জানা, টিউশন ফি দেওয়া, যে কোনো ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা যায়। এ ধরনের পরিশোধে কার্ডের উপস্থিতিও দরকার নেই। ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এমন একটি ডিভাইস তথা মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব বা কম্পিউটার হলেই লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। অবশ্য গ্রাহকের একটু অসতর্কতায় মুহূর্তে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। তাই দরকার বাড়তি সতর্কতা। এ জন্য কোনো অবস্থায় গোপন পিন নম্বর অন্যের সঙ্গে শেয়ার না করাসহ নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।