যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

আইএমএফের ঋণ পেতে পারে বাংলাদেশ

করোনাভাইরাসের প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় চাপ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে বেশিরভাগ দেশ নিজেদের মতো করে বিভিন্ন নীতি হাতে নিয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় অর্থনীতির চাপ সামলাতে বাংলাদেশও ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যে ঋণ চেয়েছে, তার ওপর গত দু সপ্তাহ ধরে ঢাকায় আলোচনা এক প্রকার শেষ করেছে সংস্থাটির একটি মিশন। সরকারের সঙ্গে আলোচনাকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমাপনী বৈঠকে। আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে বিবৃতি দেবে আইএমএফ মিশন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচনার অগ্রগতি বিবেচনায় তাঁরা মনে করছেন, আইএমএফের ঋণ পেতে পারে বাংলাদেশ। আইএমএফ মিশনের অবস্থান ইতিবাচক। তবে চূড়ান্তভাবে ঋণ নেওয়া বা দেওয়া নির্ভর করবে সংস্থার বিভিন্ন শর্তের বিষয়ে সরকারের সম্মতির ওপর।গত জুলাইয়ে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় সরকার। এর পর নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুই সপ্তাহের সফরে ঢাকায় আসে আইএমএফ মিশন। গত ২৬ অক্টোবর থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা।

জানা গেছে, বাংলাদেশের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে না আইএমএফ। তবে যেভাবে কমছে তা অব্যাহত থাকলে উদ্বেগজনক পর্যায়ে যেতে পারে। এ বাস্তবতায় রিজার্ভ সুরক্ষায় সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর শেষে প্রধান কার্যালয়ে একটি রিপোর্ট দেবে। এর পরই মূলত কী কী শর্ত থাকবে চূড়ান্তভাবে তা জানা যাবে। দু পক্ষের সম্মতির পর ঋণ প্রস্তাব উঠবে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদে।