যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির হিসাবে গরমিল

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মূল্যস্ফীতির হিসাব পদ্ধতিতে গরমিল আছে। ফলে জিডিপি ও মূল্যস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ হচ্ছে, সেগুলোয়ও বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না।হিসাব পদ্ধতির ত্রুটির কারণে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বেশি দেখানো হচ্ছে। একই কারণে মূল্যস্ফীতির হার দেখানো হচ্ছে কম। অর্থনীতির প্রধান এ দুটি সূচকেরই হিসাব পদ্ধতিতে ব্যাপক সংস্কার আনার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে প্রতি তিন মাস পর জিডিপির হিসাব প্রকাশের সুপারিশ করেছে। এছাড়া গত আগস্টের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশে কেন দেরি হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে।মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে কথা বলেছে আইএমএফ। ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে মিশনের অন্য সদস্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর পক্ষে সংস্থার মহাপরিচালক মতিয়র রহমানের নেতৃত্বে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইং পরিচালক জিয়াউদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেন।

এ প্রসঙ্গে বিবিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিষয়। এ বিষয়ে কিছু করতে হলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আইএমএফ মিশনকে জানান।বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফের একটি মিশন বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। তারা ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। ২৬ অক্টোবর থেকে তারা মিশন শুরু করেছে।বৈঠক সূত্র জানায়, আইএমএফ বিভিন্ন সূচকে হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এগুলোর গ্রহণযোগ্যতার কথাও বলেছে। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার বিষয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলেছে, তথ্য যদি সঠিক না থাকে, তাহলে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন নির্ভুল হবে না। যে কারণে সরকারের পলিসি অনুযায়ী কোনো খাতেই সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

আইএমএফ মনে করে, যে প্রক্রিয়ায় জিডিপির হিসাব করা হয়, তা ত্রুটিপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে এর মিল নেই। ফলে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি দেখানো সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হিসাবেও শুভংকরের ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। কেননা এ হার বেড়ে গেলেই ফাঁকির প্রবণতাও বেড়ে যাবে। এসব তথ্য আড়াল করার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না। সব সূচকে উন্নয়ন দেখানো হলেও সামান্য একটু আঘাতেই সব এলোমেলো হয়ে পড়ছে।বৈঠকে আইএমএফ জিডিপির হিসাব ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশের প্রস্তাব করেছে। তারা বলেছে, বিশ্বের অনেক দেশ ত্রৈমাসিক, এমনকি মাসিক ভিত্তিতেও জিডিপির হিসাব প্রকাশ করছে। বাংলাদেশকেও এটি করা উচিত। একই সঙ্গে তারা মূল্যস্ফীতির তথ্য সঠিক সময়ে প্রকাশের কথা বলেছে।