যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

মূল্যস্ফীতির চাপ সরকারের ঋণের ব্যয় বাড়াচ্ছে

বাংলাদেশে করোনা-পরবর্তী সময়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। সরকারের ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদহার ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা ভারত, চীনসহ উদীয়মান এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে সরকারি ঋণের সুদহার বেড়েছে। এর প্রধান কারণ মূল্যস্ম্ফীতির চাপ। অন্যান্য দেশেও একই পরিস্থিতি।গতকাল শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ওপর আইএমএফের রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক শিরোনামের প্রতিবেদনে এমন তথ্য রয়েছে। আইএমএফের এ প্রতিবেদন এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন সংস্থাটির একটি মিশন বাংলাদেশের প্রস্তাবিত সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের ওপর আলোচনা করতে ঢাকায় অবস্থান করছে। মিশনটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকের সুদহারে আরোপিত সীমা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে। আগামীকাল রোববার তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাদের।  বাংলাদেশে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদহার ৮ শতাংশের নিচে ছিল। আর করোনার সময় সুদহার ছিল ৬ শতাংশের নিচে। ভারতে একই মেয়াদের বন্ডের সুদহার ৮ শতাংশের নিচে রয়েছে। চীনে এ হার ৩ শতাংশেরও কম। প্রতিবেদনের ছকে উল্লেখিত উদীয়মান এশিয়ার অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের তুলনায় এর সুদহার কম রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের এপ্রিলে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে দেয়। পরে আমানতের সুদহারেও এক ধরনের সীমা আরোপ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় জানায়, আমানতের সুদহার পূর্ববর্তী তিন মাসের গড় মূল্যস্ম্ফীতির চেয়ে কম হবে না। তখন মূল্যস্ম্ফীতি অবশ্য ৬ শতাংশের কম ছিল। কিন্তু এখন পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ম্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং আইএমএফ গত ১১ অক্টোবর প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ম্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি থাকবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নীতি সুদহারও গত সেপ্টেম্বর মাসে বাড়িয়েছে। ফলে বাজারে সুদহার বৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী চাপ রয়েছে। তবে ঋণের সুদে সরাসরি ৯ শতাংশের সীমা আরোপ থাকায় ব্যাংকগুলো বাড়াতে পারছে না। অবশ্য বাস্তবতার কারণে মূল্যস্ম্ফীতির সঙ্গে আমানতের সুদহার সমন্বয়ের নির্দেশনা মানতে পারছে না বেশিরভাগ ব্যাংক। এ অবস্থায় আইএমএফ সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।