যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

বৈদেশিক মুদ্রার সব উৎসেই ভাটা

বৈদেশিক মুদ্রার সব উৎসেই দেখা দিয়েছে নিম্নগতি। রপ্তানি, প্রবাসী আয় এবং উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড়- তিন ক্ষেত্রেই বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ আগের চেয়ে কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমে গিয়েছিল। এই অক্টোবরেও দুই ক্ষেত্রেই একই প্রবণতা। অন্যদিকে সর্বশেষ হিসাবে এই অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় আগের একই সময়ের চেয়ে কমেছে।

অর্থনীতিবিদ এবং উদ্যোক্তারা মনে করছেন, বৈশ্বিক ও স্থানীয় নানা সংকটে অর্থনীতির ওপর তৈরি হওয়া চাপ সহসাই কাটবে না। রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার প্রবণতা আগামী মাসগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে। সময়মতো পণ্য পাওয়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন ক্রেতারা। কারখানায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে তাঁদের কাছে। প্রতিযোগী অন্য কোনো দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের এতটা সংকট নেই। এ কারণে সম্প্রতি রপ্তানি আদেশ কমেছে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ শতাংশ। আগামী কয়েক মাসের রপ্তানি আয়ের প্রতিবেদনে এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি সংকটের দ্রুত সমাধান, পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক ঋণ ছাড় করাতে আরও তৎপর হওয়া এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কার্যকর কৌশল নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

করোনার ধকল কাটিয়ে টানা ১৩ মাস ইতিবাচক থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় নেমে আসে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমে ৬ শতাংশ। এই অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে তৈরি পোশাক রপ্তানি কম হয়েছে ১৯ শতাংশ। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সমকালকে বলেন, দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি কমছে- এটি নিশ্চিত। এসব মাসের রপ্তানি আদেশ এরই মধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে। ডিসেম্বরের পরের পরিস্থিতি কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।