ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন শান্ত-সাকিবরাদেশের পাঁচ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারিমে মাসের শেষ দিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়রাজশাহীতে বাগান থেকে গুটি আম নামানো শুরু
No icon

সোনা আমদানি নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ

আমদানি ব্যয় কমিয়ে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গত ২০ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে নির্দেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ কমিশন তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।যেসব ভোগ্যপণ্য সমাজের উচ্চ ক্রয়ক্ষমতাসম্পন্ন শ্রেণি ভোগ করে থাকে, সেসব পণ্যের শুল্কহার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতির প্রভাব কিছুটা হলেও লাঘব হবে। বিশেষ প্রয়োজনে আমদানিযোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।এতে আরো বলা হয়, বন্ডের মাধ্যমে শতভাগ রপ্তানি খাতের জন্য যে পণ্য আমদানি হয় তা স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করলে স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে সরকার রাজস্ব হারায়।

শুল্ক-কর ও ট্যারিফ মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হলে, অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য কী প্রভাব পড়তে পারে তা-ও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে। বিদ্যমান পণ্য মজুদের কারণে মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। মিথ্যা ঘোষণা, মিস ডিক্লেয়ারেশন, আন্ডার ইনভয়েসিং ও অন্য অসাধু পন্থায় আমদানি বৃদ্ধির প্রবণতা বাড়তে পারে। অন্যদিকে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর ও শুল্কায়নযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি করা হলে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।প্রতিবেদনে ট্যারিফ কমিশন ছয়টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনতে ট্যারিফ কমিশন ৩৩০ আইটেম পণ্যের শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ও ট্যারিফ মূল্যবৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, গোয়েন্দা সংস্থা, পণ্য সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং এফবিসিসিআই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।