ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন শান্ত-সাকিবরাদেশের পাঁচ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারিমে মাসের শেষ দিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়রাজশাহীতে বাগান থেকে গুটি আম নামানো শুরু
No icon

বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমেছে বিশ্ববাজারে

আন্তর্জাতিক বাজারে গেল জুলাইয়ে শুধু জ্বালানি তেল নয়, বেশিরভাগ পণ্যেরই দাম কমেছে। আগের মাস জুনের চেয়ে জুলাইয়ে জ্বালানি, কৃষি, খাদ্য, শিল্পের কাঁচামাল, ধাতব পণ্যসহ প্রায় সব খাতের গড়মূল্য কম ছিল। পণ্যমূল্যের ওপর বিশ্বব্যাংকের মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।তবে এক বছর আগের তুলনায় বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য এখনও অনেক বেশি। এ কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখনও উচ্চ মূল্যস্ম্ফীতি বহাল। এক বছর আগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল টনপ্রতি গড়ে ৭৩ ডলার। চালের দাম ছিল ৪০০ ডলারের নিচে। সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ ডলারের কিছুটা বেশি।খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাংকেরই আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি দেশে এখন উচ্চ মূল্যস্ম্ফীতি রয়েছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে এ হার ৯৩ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ম্ফীতির কারণে লাখ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে।পণ্যমূল্য নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে আগের মাসের চেয়ে জ্বালানির দাম গড়ে কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম জুনে ছিল ব্যারেলপ্রতি গড়ে ১২০ ডলার। জুলাইয়ে তা ১০৯ ডলারে নামে। উল্লেখ্য, এই আগস্টে তা আরও কমে ৯৫ ডলারের নিচে নেমেছে। অবশ্য প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির দাম গত মাসে বেড়েছে।

খাদ্যপণ্যের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বেশ কমেছে। জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১২ শতাংশ। আর পাম অয়েলের দাম কমেছে ৩০ শতাংশ। পাম অয়েল জুনে যেখানে প্রতি টন গড়ে ১ হাজার ৫০১ ডলারে বিক্রি হয়েছে, জুলাইয়ে তা কমে ১ হাজার ৫৭ ডলার হয়েছে। সয়াবিন তেল ১ হাজার ৭৫২ থেকে নেমেছে ১ হাজার ৫৩৩ ডলারে।ভোজ্যতেল রিফাইনারি কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম সম্প্রতি ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ট্যারিফ কমিশন তা পর্যালোচনা করছে। বিশ্ববাজারে দাম কমার পর এমন প্রস্তাব কেন- জানতে চাইলে দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। সেই তেল দেশের বাজারে আসবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। তাঁরা কিছুদিন আগে বাজারে দাম কমিয়েছিলেন। সম্প্রতি ডলারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এবং একই সঙ্গে দেশে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্যবৃদ্ধিতে তাঁদের পরিবহন খরচসহ অন্য ব্যয় বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ তাদের খাদ্য-বাণিজ্য সম্পর্কিত নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। গত ১১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ২৩ দেশ ৩৩টি খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করেছে। অন্তত সাত দেশ ১১টি পণ্যের রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এসব নীতি বিশ্বে বর্তমান খাদ্য সংকটের অন্যতম কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) গত জুন নাগাদ বিশ্বের ৮২ দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়িয়েছে।