৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরাসৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিদেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
No icon

বাজেটে বরাদ্দ ও ব্যয়ের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নতুন করে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। এর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য জটিলতা অন্যতম। নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল সোমবার দৈনিক আমাদের সময় কার্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বাজেট : পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রেক্ষিত - শীর্ষক প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তারা বলেন, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের দক্ষতাও বাড়াতে হবে।র্ডপ ও আমাদের সময় আয়োজিত আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-বিআইআইএস-এর গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আজকের আলোচ্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিজীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এসডিজি অর্জনের অনেকগুলো সূচক জলবায়ু, পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সম্পর্কিত। তিনি বলেন, আমরা ওয়াশ ও স্যানিটেশন বিষয়ে প্রতিবছর কত বারদ্দ রেখেছি বিষয়গুলো এখানে আলোচনা হয়েছে। প্রতিবছরই এই বরাদ্দ বাড়ানো হলেও প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজটে বরাদ্দ হয় খাতভিত্তিক। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়গুলো সম্পৃক্ত। বাজেটে ১৪টি খাতে বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্যের বরাদ্দের মধ্যে হাইজিন ও স্যানিটেশন চলে আসে। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এগুলো নিজেরা বণ্টন করে। এই যেমন পানি, হাইজিন, স্যানিটেশেন ইত্যাদি। এখানে সূক্ষ্মভাবে ইস্যুভিত্তিক বাজেট কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দ করা হয় না। আলোচনায় যে দাবিগুলো তোলা হয়েছে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পুনর্বিন্যাস করতে পারে। মন্ত্রণালয়ের বিন্যাস কিন্তু আমরা করে দেই না। আমরা মোটা দাগেই দিয়ে থাকি।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেট মূলত তৈরি হয় আমলাতন্ত্রের সহায়তায়। তাদের সহায়তায় হলেও অনুমোদন হয় জনপ্রতিনিধিদের আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সংসদে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশুদ্ধ পানি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাম ও শহরের সুবিধার ব্যবধান অনেক কমে এসেছে। গ্রামে বিশুদ্ধ পানি দেওয়ার একটি মডেল আছে বগুড়ায়। একটা জায়গায় পানি উঠিয়ে সেটাকে শোধন করে একটি পরিবারে চারজন সদস্য হলে জনপ্রতি ৫ টাকা করে ২০ টাকা দিয়ে এক মাস পানি পাবে। এটা সারাদেশে চালু করা যেতে পারে। বিশুদ্ধ করে পানি দিতে চাইলে এটাই করতে হবে।বাজেট বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয় কিন্তু বাজেটের সব অর্থ ব্যয় করতে পারে না। আমাদের দাবি হওয়া উচিত ব্যয় বাড়ানোর দক্ষতা ও মানসম্মত উপায়ে ব্যয় করা। বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিতে সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।