দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলবিএনপির আরও চার নেতাকে বহিষ্কারবিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল রিলাক্স পরিবহনের বাস, নিহত ৫ আহত ১৫
No icon

৬ মাসে রেমিট্যান্স কমলো ২১ শতাংশ

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা এক হাজার ২৪ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। করোনার মধ্যে গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে গত ৬ মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭১ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ। এরকম প্রেক্ষাপটে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে চলতি মাস থেকে প্রণোদনার হার বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রবাসী আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে। হুন্ডি উপায়ে এসব প্রবাসী আয়ের অর্থ দেশে আনা হয়। তবে ২০২০ সালে করোনার কারণে হুন্ডি চাহিদা কমায় প্রবাসী আয়ের বেশিরভাগই তখন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল। এখন আবার চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স কমছে। এছাড়া সব কিছু খুলে দেওয়ার পর যে হারে লোকজন দেশে ফিরেছে বাইরে গেছে সে তুলনায় কম। এসব কারণে রেমিট্যান্স কমছে।রেমিট্যান্স কমলেও গত নভেম্বর পর্যন্ত আমদানিতে প্রায় ৫৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। আমদানিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে গত আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ২৩০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এরপরও প্রতি ডলারে এক ডলার বেড়ে আন্তঃব্যাংকেই ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছে। আর গত আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে আবার ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।

সাধারণত সব সময় রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এর আগে ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ব্যাপক কমে যায়। তখন হুন্ডি প্রবণতা কমানোর উদ্যোগ নিতে বিভিন্ন দূতাবাসে চিঠি লেখে সরকার। পাশাপাশি রেমিট্যান্স কমার কারণ অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৭ সালের শুরুর দিকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে দুটি টিম পাঠায়। ওই প্রতিনিধি দল শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে রেমিট্যান্স কমার সব চেয়ে বড় কারণ হিসেবে তুলে ধরে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে বাইরে বেশি অর্থ পাওয়া। বর্তমানে একজন প্রবাসী ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়ে যে পরিমাণ টাকা পান কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে তার চেয়ে অন্তত ৬ টাকা বেশি পাচ্ছেন।বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়িয়েছে সরকার। চলতি জানুয়ারি থেকে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো অর্থে প্রবাসীরা আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার।