সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেনকষ্টার্জিত জয়ে ব্যবধান ৪-০ করল বাংলাদেশস্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশসকালে সন্ধ্যা নেমে এলো ঢাকায়, নামল স্বস্তির বৃষ্টিআগামী ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া
No icon

ই কমার্স আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন কমিটির প্রথম বৈঠক আজ

প্রতারণা থেকে গ্রাহককে সুরক্ষা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শুরু হওয়া ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসাবাণিজ্য, ভোক্তা ও বিক্রেতার অসন্তোষ এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা নিরসনে গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ই-কমার্স আইনের খসড়া এবং রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বেবৈঠকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল, এফবিসিসিআই, এটুআইর প্রতিনিধি, ই-কমার্স সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, বেসিস সভাপতি, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিবুল আলম উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকের বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটির কাঠামো এবং আইনের খসড়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।কমিটি ডিজিটাল কমার্স সেক্টরের উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে একটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। এ ছাড়া কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে ডিজিটাল কমার্স পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ করার উপযোগী একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করবে। পাশাপাশি কমিটি দুই মাসের মধ্যে শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার কাঠামো এবং এর কার্যপ্রণালি প্রণয়ন করবে।সূত্র জানায়, ইভ্যালিসহ ১১টি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অর্থ লোপাটের ঘটনা বেরিয়ে আসার পর সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়েছে। এর পরই এ আইন প্রণয়নের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বর্তমান ১ হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চলছে কোনো ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেওয়ার কথা। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানেরও নিবন্ধন নেই।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ই-কমার্স ব্যবসার নামে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ বেশকিছু কোম্পানি গ্রাহকদের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিপুল পরিমাণ ডিসকাউন্টের লোভ দেখিয়ে অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য কিংবা রিফান্ড কোনোটাই দিচ্ছে না। এ ধরনের অনিয়ম ও প্রতারণার রাস্তা বন্ধ করে সম্ভাবনাময় খাতটির প্রতি আস্থা ফেরাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি মনিটরিং টিম কাজ করবে।