সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেনকষ্টার্জিত জয়ে ব্যবধান ৪-০ করল বাংলাদেশস্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশসকালে সন্ধ্যা নেমে এলো ঢাকায়, নামল স্বস্তির বৃষ্টিআগামী ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া
No icon

করোনা মোকাবিলায় অব্যয়িত সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় থোক বরাদ্দের ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সাত হাজার ৮০০ কোটি টাকা অব্যয়িত রয়েছে। এ অর্থবছর শেষ হতে মাত্র দেড় মাস বাকি। ফলে এ সময়ে অব্যয়িত অর্থের পুরোটা ব্যবহার সম্ভব হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।জানতে চাইলে বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক এম কে মুজেরি বলেন, জনগণকে দ্রুত করোনার টিকার আওতায় আনা গেলে এর ফল ভালো পাওয়া যাবে। টিকা যাতে সহজে পাওয়া যায়, সরকারকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।আর টিকা কিনতে পারলে এ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, টিকার পরবর্তী চালান কবে আসবে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। টাকা ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্তি সমস্যা নয়।সমস্যা ভিন্ন স্থানে। এখন সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে এর ব্যবহারের জন্য। এটি নিশ্চিত করতে না-পারলে অপচয় হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।বিনা মূল্যে সবাইকে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এক হিসাবে দেখা গেছে, ১৬ কোটি লোকের জন্য ৩২ কোটি ডোজ অক্সফোর্ডের টিকা কিনতে খরচ পড়বে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা।টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণে লাগবে আরও অর্থ। এখন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকা নিচ্ছে সরকার। প্রথম ধাপে তিন কোটি টিকা কেনা হয়েছে। প্রতি ডোজ ৫ ডলার।

বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। যদি সব টিকা অক্সফোর্ডের কেনা হয়, তাহলে সরল অঙ্কে ১৬ কোটি লোকের জন্য ৩২ কোটি ডোজ টিকা কিনতে খরচ হবে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা।জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন মিলে মোট বরাদ্দ ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এর বাইরে করোনা সংকট মোকাবিলায় বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়। সঠিকভাবে টিকা এলে এ বরাদ্দে টিকা কেনার ব্যয় কুলাবে না। এ ছাড়া টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণে বিপুল অবকাঠামো তৈরির পেছনে অনেক টাকা খরচ হবে।বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে সঠিকভাবে মোকাবিলা ও এর অর্থনৈতিক প্রভাব দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে ওঠারস্বার্থে এ বরাদ্দ রাখা হয়।সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় থোক বরাদ্দ থেকে এরইমধ্যে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এরমধ্যে ব্যয়ের উল্লিখিত অংশ গেছে টিকা কেনার পেছনে।করোনার টিকা কিনতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৭৩৬ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ বিভাগ। এ ছাড়া আরেক দফায় ৭১৯ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে।এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় চারটি শর্ত দিয়েছে। প্রথম শর্তে বলা হয়, টিকা কিনতে অর্থ ব্যয়ের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন নিতে হবে।