হজ শেষে দেশে ফিরেছেন প্রায় ১২ হাজার হাজি, মৃত্যু ৪৪খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে বসানো হলো পেসমেকারদুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আভাসরাজধানীতে আজ বন্ধ থাকবে যেসব সড়কঢাকার বাতাস আজ কিছুটা ভালো
No icon

দুই মহাসড়কে ভোগান্তি, বাসে ‘গলাকাটা’ ভাড়া

শেষ সময়ে এসে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা এবারও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়নি। এ দুই মহাসড়কের গাজীপুরের শিল্পঘন এলাকাতে গতকাল শনিবার দিনভর ছিল যানজট। কোথাও থেমে থেমে চলে গাড়ি। যানবাহন সংকটের সুযোগে বাসে গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। বাসের বাড়তি ভাড়ায় টিকতে না পেরে অনেক দরিদ্র মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে যাত্রা করেন।তবে স্বস্তি ছিল আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রায়। ঢাকা থেকে অধিকাংশ ট্রেন ৫ থেকে ৩০ মিনিট বিলম্বে যাত্রা করলেও শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। যদিও ইঞ্জিন-বগি সংকট এবং রেলের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পদ্ধতি কাজ না করায় এবারের ঈদে ভোগান্তির শঙ্কা ছিল।আগের দিনের চেয়ে গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রা ছিল স্বস্তির। গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট হয়নি। ঢাকা-খুলনা এবং ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কেও যানজট ছিল না। এ দুই মহাসড়কের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও যানজট দেখা যায়নি। তবে রাজধানী ছেড়ে এক্সপ্রেসওয়েতে পৌঁছাতে পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত যেতে তীব্র যানজট ছিল গতকাল দুপুর পর্যন্ত।সরকারি অফিসে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় ঈদের ছুটি। সেদিন দুপুর থেকে সড়কে যাত্রীর চাপ বাড়ে। শিল্পকারখানাসহ অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয় গতকাল। তাই এদিন দুপুর থেকে সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরের টঙ্গী, কালিয়াকৈর এলাকায় মহাসড়কে যাত্রীর ঢল নামে।শিল্পকারখানার ছুটিতে কোথাও কোথাও যানজট হচ্ছে, তা স্বীকার করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু জায়গায় যানজট হলেও কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়নি। এবার সড়কে অনেক বেশি যানবাহন। যানবাহনের ভিড় অনেক বেশি। কোথাও যানজট হচ্ছে না, তা অস্বীকার করে লাভ নেই।

ঢাকা ছাড়তে এবারও ভোগান্তি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় মহাসড়কে যানজট না থাকলেও হানিফ ফ্লাইওভার পার হতেই গতকাল কয়েক ঘণ্টা লেগেছে। সাংবাদিক আমিন আল রশিদ ফেসবুকে লিখেছেন, শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় পান্থপথ থেকে রওনা হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে পোস্তগোলা সেতুতে পৌঁছান। মাত্র ১২ কিলোমিটার পথ যেতে তিন ঘণ্টা লেগেছে।বেলা ১১টার দিকে দেখা যায়, রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে উত্তরার আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত পুরো পথ ফাঁকা। তবে আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের টঙ্গী, বোর্ড বাজার, ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে সালনা পর্যন্ত পুরো পথেই গাড়ির দীর্ঘ সারি। ময়মনসিংহের যাত্রী জাহিদুর রহমান জানান, আবদুল্লাহপুর থেকে সালনা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার পথে বাসে দুই ঘণ্টা লেগেছে।

দুই মহাসড়কে দুর্ভোগ

গাজীপুর ও কালিয়াকৈর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল গাজীপুরের প্রায় ৬০ শতাংশ কারখানায় ছুটি শুরু হয়। এতে দুপুর থেকে যাত্রীর ঢল নামে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের চন্দ্রা, নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া এলাকায়। সন্ধ্যায় চন্দ্রা এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট ছিল। মোড় পার হতে ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। হাজারো মানুষ সড়কে ভিড় করায় কমে গাড়ির গতি। পুলিশের তৎপরতা থাকলেও বহু গাড়ি সড়কে থামিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এতে যানজট আরও বাড়ে। বাস না পেয়ে হাজারো মানুষ চড়েন ট্রাক-পিকআপে।
একই অবস্থা ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে সালনা অংশে। সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর থেকে যাত্রীর ঢল শুরু হয় এ অংশে। তবে হাইওয়ে পুলিশের নাওজোড় থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, মহাসড়কে যানজট নেই। একই দাবি মাওনা হাইওয়ে থানার এসি শেখ মাহবুব মোর্শেদের।