ডেঙ্গুতে সারা দেশে চলতি বছর ঝরতে পারে ৪০ হাজার প্রাণ থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রীহিট অ্যালার্টেও স্কুল, নগণ্য উপস্থিতির অনেকে অসুস্থদুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
No icon

তাপদাহে ৫৪ জেলায় জনজীবন অতিষ্ঠ, ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা

সবচেয়ে উষ্ণ মাস এপ্রিল। চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। এ অবস্থা দেশের প্রায় সবখানেই। অন্তত ৫৪ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। সোমবার দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। আগামী তিন দিন পারদ নামার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস। এতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। এরপরও জীবিকার জন্য বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে মানুষ বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। সকাল ১০টার পর থেকে রোদে তেতে উঠছে চারপাশ। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অধিকাংশ দিনই ৩৮ ডিগ্রির ওপর থাকছে।এ ছাড়া গত দুই দিনের প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদাহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা বলছেন, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। কাজকর্ম করতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে কাজ না করেও উপায় নেই।গরমের দাপট বাড়ছে রাজধানীতেও। বৈশাখের শুরু থেকেই পারদ শুধু উঠছে। আর যন্ত্রে যে তাপমাত্রা ধরা পড়ছে, অনুভূত হচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। অসহনীয় গরমে ঢাকার শ্রমজীবী মানুষ ভীষণ কষ্টে আছেন। তীব্র তাপদাহে ফুটপাতের খোলা ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের ব্যবসা-বাণিজ্য করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের এই তিন জেলার অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা থাকছে ৩৮ ডিগ্রির ওপর।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে উষ্ণতা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি। রোববার রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সোমবার রাজধানীর তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যা রোববার ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।গরমে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় শিশুদের নিয়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাপপ্রবাহে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বৃদ্ধরা। আর চাপটা সবার আগে পড়ে শিশু হাসপাতালের ওপর। এই সময় শিশুদের ঘরের বাইরে বের না করাই ভালো। অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে শিশু হাসপাতালের এই পরিচালক বলেন, শিশুদের স্কুল সাধারণত সকালে। কিন্তু ফেরার সময়টা সাবধানে আসতে হবে, যেন তারা ছায়ায় থাকে।আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। বুধবার চট্টগ্রাম ও সিলেটের আশপাশে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে যে তাপপ্রবাহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে, তা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।