যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

শিগগির শুরু হতে পারে ট্রানশিপমেন্ট

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সড়ক মাসুল আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভিমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি) চুক্তি এবং এর আওতায় স্বাক্ষরিত স্ট্যান্ডার্ড অব প্রসিডিউরের (এসওপি) অধীনে এসব পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হবে। আর এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে শিগগিরই।সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক চিঠিতে বলা হয়, এসিএমপি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে (সড়কপথ ব্যবহারে টোল নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী) ১৫ টন ওজনের পণ্যবাহী মাঝারি ট্রাকের জন্য আটটি রুটে মাসুল নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই মাসুলের হার প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি ১ টাকা ৮৫ পয়সা। এসিএমপি চুক্তির আওতায় ট্রায়াল রানের ক্ষেত্রে পণ্য চালানের শুল্ক, চার্জ ও ফি বাংলাদেশ কাস্টমস আদায় করবে। একই সঙ্গে সড়ক ব্যবহারের নির্ধারিত মাসুল আদায় যৌক্তিক বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, শিগগির ওই চুক্তি এবং এর আওতায় স্বাক্ষরিত এসওপি অনুযায়ী নিয়মিত ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট কার্যক্রম চালু হবে। এখন এসিএমপি চুক্তির আওতায় নিয়মিত পণ্য চালান ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টের ক্ষেত্রে সড়ক ব্যবহারের নির্ধারিত মাসুল কী প্রক্রিয়ায় এবং কী পরিমাণ আদায় করা হবে, তা জানানোর জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে এনবিআর।এর আগে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, মোংলা-তামাবিল-ডাউকি, মোংলা-বিবিরবাজার-শ্রীমান্তপুর, চট্টগ্রাম-শ্যাওলা-সুতারকান্দি এবং ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। এখন এসিএমপি চুক্তির আওতায় নিয়মিত ট্রানশিপমেন্ট কার্যক্রমে যেতে চায় ভারত।

তার আগে প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান হয় ২০২০ সালের জুলাইয়ে। তখন কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী ছোট জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্থলপথে পণ্য আগরতলা নেওয়া হয়েছিল। জাহাজে পণ্য ছিল ডাল ও রড। এরপরও ট্রায়াল রান চলে। এখন পণ্য পরিবহন আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর পালা।নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চুক্তি হয়। বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ চুক্তিতে সই করে। দুই দেশই বিশ্বাস করে, এ চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য বাড়বে।