সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজইসি গঠনে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটিইসরাইলি হামলায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনি নিহতআজ সংবিধান দিবস
No icon

হাজার কোটি ব্যয়-বৃদ্ধির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি

দেশের ৬৪ জেলার ২৮১টি পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ৯৫৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু এই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। তারা আন্তঃঅঙ্গ ব্যয় সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প শেষ করতে বলেছে।স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুরুতে এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। এরপর ব্যয় অপরিবর্তিত রেখে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৫ অর্থবছরে অনুমোদিত ডিপিপির আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। কিন্তু গত চার বছরে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা, যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬৩ শতাংশ। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ভৌত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া নতুন করে স্থানীয় চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে টুঙ্গিপাড়া, কচুয়া, বেতাগী, নড়াইল, ভা-ারিয়া, মৌলভীবাজার (কোদালীছড়া) ও সুনামগঞ্জ পৌরসভায় অবস্থিত পুকুর জলাশয় সংস্কার, সংরক্ষণ, পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ডিপিপিতে নতুন অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন।

ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অনেক প্রকল্পই ব্যয় বৃদ্ধি না করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রকল্পটিতে ৯৫৩ কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ। প্রকল্পটি শুরুর পর ৫ বছরে ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিক ও জাতীয় আর্থিক কৃচ্ছ্র সাধনের নীতিমালার আলোকে আগামী এক বছরে প্রস্তাবিত প্রকল্পের অবশিষ্ট ২ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া প্রায় অসম্ভব। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে আরও ৪-৫ বছর প্রয়োজন হবে। যদিও প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২৩-এ শেষ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই প্রকল্প ব্যয় ও কার্যপরিধি অপরিবর্তিত রেখে আন্তঃখাত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যেতে পারে।ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নতুনভাবে খাল/পুকুর/জলাশয় সংরক্ষণ, সৌন্দর্যবর্ধন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে মৌলভীবাজার সদর পৌরসভায় সাড়ে ২৪ কোটি টাকা, সুনামগঞ্জ সদর পৌরসভায় ৪ কোটি টাকা, নড়াইল সদর পৌরসভায় ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা, গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা, বরগুনার বেতাগী পৌরসভায় ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং ভা-ারিয়া পৌরসভায় ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ৫৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে ৮৬০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও পুনর্বাসনে ৬৮৮ কোটি টাকা, ১৩৫ মিটার ব্রিজ নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা এবং ৯৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ ও পুনর্বাসনে ১৭৮ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।