সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজইসি গঠনে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটিইসরাইলি হামলায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনি নিহতআজ সংবিধান দিবস
No icon

নিরপেক্ষ আচরণের বার্তা যাবে মাঠ প্রশাসনে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফেরাতে বড় উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সব ধরনের রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধের নির্দেশনা আসছে। এ লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনকে নিয়ে ঢাকায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাজনৈতিক বিতর্কে থাকা সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান।সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের ভোট সামনে রেখে আগাম বার্তা দিতেই আগামী শনিবার ঢাকার নির্বাচন ভবনে ৬৪ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও মহাপুলিশ পরিদর্শকেরও (আইজিপি) উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ দেশের নিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসির ওপর অনাস্থা জানিয়ে আসছে।

একই সঙ্গে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে অনীহা, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হবে মাঠ প্রশাসনকে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান বলেন, সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সংশ্নিষ্টতা ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সামনে জেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন রয়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশন মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে চায়; জেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারীদের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চায়। এ কারণে আগামী সব নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতেই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময়, সমন্বয় সাধন ও নির্বাচন-সংশ্নিষ্ট বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়াই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য।তিনি বলেন, এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনায় চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের পথ বের করতে মতবিনিময় করবে কমিশন। তাঁর মতে, শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে অনেক সমস্যার সমাধান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কমিশন চায় নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ এবং আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে।