বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কাঠামো টেকসই নয় বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ জন্য বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর মতো কাঠামোতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবদনে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।বিশ্বব্যাংক জানায়, শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর মতো বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান কাঠামো টেকসই নয়। সংস্কার না হলে ২০৩৫ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে যেতে পারে। আর মোটামুটি ধরনের সংস্কার হলে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ভালো রকম সংস্কার হলে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। সংস্কার না হলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির গতিও কমে যাবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি আরও জানায়, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং প্রবৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত করতে একটি শক্তিশালী সংস্কার এজেন্ডা প্রয়োজন।
এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির জন্য তিনটি বাধা চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। এগুলো হচ্ছে- বাণিজ্যক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস, দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক খাত এবং ভারসাম্যহীন ও অপর্যাপ্ত নগরায়ণ। এ বাধাগুলো দূর করতে পারলে উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে এবং ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি আরও টেকসই হবে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক।ব্যাংক খাত সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু বাংলাদেশের আর্থিক খাত অতটা গভীর নয়। গত চার দশকে আর্থিক খাতের উন্নতি হলেও এখনো তা পর্যাপ্ত নয়। অন্যদিকে আধুনিক নগরায়ণই বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারসাম্যপূর্ণ আধুনিক নগরায়ণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, নোরা ডিহেল, সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির প্রমুখ।