রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সকালে ঝুম বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, বাড্ডা, ধানমন্ডি, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, ফার্মগেট, মৌচাক, মগবাজার, মালিবাগ ও আজিমপুর এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। এতে বিপাকে পড়ে কর্মমুখী মানুষ।এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণপূর্ব দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এর আগে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।আগামী দুই দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।বুধবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে টাঙ্গাইলে ৭ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।