৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরাসৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিদেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
No icon

আইন প্রণয়নের কাজ থমকে আছে ৮ বছর

উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য সংবিধানে আইন করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও ৪৪ বছরে তা হয়নি। ১৯৭৮ সালে বিধানটি সংবিধানে যুক্ত হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের পাশাপাশি সংসদে এবং আইন কমিশন থেকে তাগিদ দেওয়া হলে ২০১৪ সালে প্রথম আইন তৈরির উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে আট বছরেও আইনটির খসড়া চূড়ান্ত হয়নি। এ অবস্থায় আবারও আইন ছাড়াই গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংসদে আইন প্রণয়নের বিধান রাজনীতিবিদরা ৫০ বছর উপেক্ষা করেছেন। ২০২২ সালে আইনটি এমনভাবে করা হয়, যা জনগণকে ব্যাপকভাবে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।২০১৪ সালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দায়িত্ব গ্রহণের পর উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি চেষ্টা করছি, নীতিমালা নয়, বিচারক নিয়োগে আইনই দেব। এরপর আইন মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি এখনও কাজ শেষ করেনি।

গত ৩০ জুন সংসদে এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বিচারপতি নিয়োগে আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে।জানতে চাইলে গতকাল আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়নের বিষয়টি এখনও আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, এখন দেখা যাক। অপেক্ষা করতে হবে।আইনজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারই আইন করেনি। কিন্তু যোগ্যতর ব্যক্তি বাছাই করার স্বার্থেই বিচারক নিয়োগে আইন করা জরুরি। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আইনজীবীদের দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন,বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়ন করা অপরিহার্য।বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সাংবিধানিক ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিচারক নিয়োগে নীতিমালা করার বিধান বাহাত্তরের সংবিধানে ছিল না। ১৯৭৮ সালের ২০ আগস্ট জিয়াউর রহমান একটি সামরিক ফরমান দিয়ে সংবিধানে ৯৫ (২) গ অনুচ্ছেদ যুক্ত করে নীতিমালার বিধান আনেন। এই অনুচ্ছেদে বলা আছে,বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে তিনি বিচারক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। কিন্তু এরপর ৪৪ বছর আইন প্রণয়নের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকেছে।

মাঝে ২০১২ সালের ৩ জুলাই জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু সুপিরিয়র জুডিশিয়াল কমিশন বিল-২০১২ নামের একটি বেসরকারি বিল সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখায় জমা দিয়েছিলেন। এতে নিয়োগের সুপারিশ করতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব ছিল। বিচারকদের রাজনৈতিক পরিচয়মুক্ত থাকাসহ কিছু শর্তের উল্লেখ ছিল। সেই বিল সংসদে পাস হয়নি। অবশ্য এর ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট নীতিমাল প্রণয়নের সুপারিশ করে আইন কমিশন।