৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরাসৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিদেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
No icon

এসির ব্যবহার যে কারণে কমানো যাচ্ছে না

বছরের বেশিরভাগ সময়ই আবহাওয়া সহনীয় থাকলেও বিদেশের আদলে দেশে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে সরকারি ভবন। পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় ভবনগুলোতে সারা বছর ব্যবহার করা হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের এসি ব্যবহারের পরিপত্র বাস্তবসম্মত নয়। ফলে যে যার মতো নিচ্ছেন এসির সুবিধা। ভবনগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকার কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করেছেন পরিকল্পনাবিদরা।গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও, সেগুনবাগিচা, মতিঝিলসহ আরও কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিবেশবান্ধব ভবনের জন্য যে উপাদান থাকা প্রয়োজন সেগুলো নেই। সরকারি ভবনগুলো গড়ে তোলা হয়েছে যেনতেনভাবে। সরকারি অনেক অফিস আগারগাঁওয়ে। এসব অফিসের ভবন স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে বেশিরভাগ ভবন যে যার মতো তৈরি করছে। ফলে একই নকশা ও পরিবেশবান্ধব ভবন তৈরি করা যায়নি।

জমির স্বল্পতা ও ভবিষ্যৎ জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য স্থপতিদের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ আধুনিক এই সময়েও বেশিরভাগ অফিস হয়েছে আবদ্ধ ভবনে। বসানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। কিছু কিছু ভবন হয়েছে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না রেখে। কোথাও নেই সবুজ। নেই ফাঁকা জায়গা, পার্ক কিংবা মাঠ।জানা যায়, রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় কপিরাইট ভবন, জাতীয় রাজস্ব ভবন. পর্যটন ভবন, বিডা ভবন, আইসিটি ভবন, নির্বাচন কমিশন ভবন, জাতীয় সংসদ, বিটিআরসি ভবন, ডাক ভবন, এলজিইডি ভবন, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, জিটিসিএল ভবন, সিপিটিউ ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে খরচ হচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ। এ এলাকায় এসির ব্যবহার বেশি হওয়ায় আশপাশে তাপমাত্রা বেড়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব ভবনের আশপাশে খোলা জায়গা ও সূর্যের আলো থাকা বাঞ্ছনীয়। ভবন পরিবেশবান্ধব করতে পারলে অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব।