দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলবিএনপির আরও চার নেতাকে বহিষ্কারবিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল রিলাক্স পরিবহনের বাস, নিহত ৫ আহত ১৫
No icon

চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতি আরও ভোগাতে পারে

জ্বালানি সংকটে চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতি আগামীতে আরও ভোগাতে পারে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে বাড়তে পারে এই সংকট। জ্বালানির ঘাটতিজনিত বাস্তবতায় এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন খাত-সংশ্নিষ্টরা।দেশজুড়ে সূচি ধরে লোডশেডিং শুরুর দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবারও বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ভেলকি জারি ছিল। রাজধানীতে সূচি রক্ষায় বিতরণ কোম্পানিগুলোর কর্তাদের রীতিমতো ঘাম ছুটেছে। কোথাও কোথাও লোডশেডিং করতে হয়েছে একাধিকবার। ঢাকার বাইরে এলাকাভেদে কোথাও কোথাও লোডশেডিং হয়েছে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, গতকাল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৬৭৪ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ উৎপাদন ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট। অর্থাৎ বিদ্যুতের ঘাটতি পিডিবি দেখিয়েছে ৭৮৫ মেগাওয়াট। বাস্তব ছবি কিন্তু ভিন্ন। গতকাল শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ঘাটতিই ছিল ৮০০ মেগাওয়াটের ওপরে।

লোডশেডিং বাড়তে পারে উত্তরে :সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। এই অঞ্চলে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার কয়লাভিত্তিক ৫২৪ মেগাওয়াট কেন্দ্র। কয়লা সংকটে এই কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। রংপুরে ১১৩ মেগাওয়াট ও ঠাকুরগাঁওয়ে ১১৫ মেগাওয়াট বেসরকারি কেন্দ্র থেকে মিলছে ২০০ মেগাওয়াটের মতো। এখন দেশের অন্য অঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ এনে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলছে। তবু ঘাটতি থাকে ৬০০ থেকে ৭০০ মেগাওয়াট।বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে স্থানীয় খনির কয়লা দিয়ে। গত ৩০ এপ্রিল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ। নতুন স্তর থেকে কয়লা তোলার প্রস্তুতি চলছে, যা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তিন মাস ধরে মজুত কয়লা দিয়ে চলছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। মজুত কম থাকায় চালানো হচ্ছে মাত্র একটি ইউনিট। এখন রয়েছে ৩০ হাজার টনের মতো কয়লা, যা দিয়ে চলতি মাসের বাকি ক দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সিলেট ব্যুরো জানিয়েছে, সিলেটে কোনো কোনো এলাকায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। দুদিন ধরে লোডশেডিং আরও বেড়েছে। সিলেটের পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে চাহিদা ছিল ৮৮ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া গেছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট। বুধবার সকালে চাহিদা ছিল ২৫; পেয়েছেন ১৫-১৬ মেগাওয়াট। তিনি বলেন, এলাকাভেদে তিন থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং রেখে শিডিউল করেছিলাম। এখন অর্ধেক সরবরাহই পাচ্ছি না। ফলে লোডশেডিং আরও বেশি করতে হচ্ছে।পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ে গতকাল দফায় দফায় দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলেছে। বিতরণ কোম্পানি নেসকো ও আরইবি জানিয়েছে, ৬০ মেগাওয়াট চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে। তাই ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে।