দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলবিএনপির আরও চার নেতাকে বহিষ্কারবিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল রিলাক্স পরিবহনের বাস, নিহত ৫ আহত ১৫
No icon

রাজধানীতে সরকারি এক ভবনেই ২৪শ টন এসি ব্যবহার করা হয়

রাজধানীতে অবস্থিত একটি সরকারি ভবনেই দুই হাজার ৪০০ টন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) ব্যবহার করা হয়। তথ্য দেখে চোখ কপালে উঠলেও এটিই সঠিক। টনের হিসাবে দেশের সবচেয়ে বেশি এসি ব্যবহার করা হয় এই অফিসে। রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সদরদপ্তর পানি ভবনের চিত্র এটি। যদিও সরকারের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৩৬টি মন্ত্রণালয়ের জন্য সব মিলিয়ে চার হাজার টন এসি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সদরদপ্তরেও ৮০০ টনের ওপরে এসি ব্যবহার করা হয়। তবে পানি ভবনের এমন এসির ব্যবহারকে বিলাসী হিসেবে দেখছেন সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও। তারা বলছেন, সরকারের কোনো সংস্থার বিদ্যুতের এমন যথেচ্ছ ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত আধুনিক পানি ভবন ২০২০ সালের ১ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়।

২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ের এ ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি। পানি ভবন ১২ তলাবিশিষ্ট, দৈর্ঘ্য ২৭৬ ফুট এবং প্রস্থ ১২৭ ফুট, ফ্লোরের মোট এরিয়া ৩৫ হাজার বর্গফুট বেজমেন্ট এবং সেমি-বেজমেন্টের উচ্চতা ১০ দশমিক ৮২ ফুট, ফ্লোর উচ্চতা (নিচতলা) ১৩ দশমিক ৭৫ ফুট, ফ্লোর উচ্চতা (অন্যান্য তলা) ১২ দশমিক ২৫ ফুট, ভবনের মোট উচ্চতা ১৭৪ ফুট। অডিটরিয়াম দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫১ ফুট, মোট এরিয়া পাঁচ হাজার ১০০ বর্গফুট (প্রায়)। অডিটরিয়াম উচ্চতা ২১ ফুট, অডিটরিয়াম ধারণক্ষমতা ৫৩৬ জন।সার্ভিস ভবন তিন তলাবিশিষ্ট, দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৬০ ফুট, প্রতি ফ্লোরের মোট এরিয়া ছয় হাজার বর্গফুট (প্রায়)।

ভবনের বেজমেন্ট এবং সেমি-বেজমেন্টে পার্কিং সংখ্যা ১৭৬টি, ভবনের বাইরে খোলা জায়গায় পার্কিং সংখ্যা ২০০টি, কমন টয়লেটের সংখ্যা ৪৮টি, রুমের সঙ্গে অ্যাটাচড টয়লেট সংখ্যা ৭০টি, ভবনের লিফট সংখ্যা আটটি। ভবনের ১১ তলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।কর্মকর্তারা জানান, পানি ভবনের অনেক রুম এবং জায়গাই অব্যবহৃত। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকায় এসি চালু করলেই পুরো ভবনে ব্যবহৃত হয়। বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। যদিও তা কোনো কাজে আসছে না।পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের বক্তব্যে পাওয়ার জন্যও চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। পানি ভবনে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচের বিষয়ে জানতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে একাধিকবার ফোন করলেও তিনিও রিসিভ করেননি। পরে নিউজের বিষয়বস্তু লিখে খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি ফোন করেননি।