রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে তৈরি পোশাক খাতঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহপ্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশুস্কুল-মাদ্রাসা খুলছে আজ, বন্ধ থাকছে ২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানআজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
No icon

মহাসড়কে ৫০ কিমি যানজটে উত্তরে ধীরগতি

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে থেমে থেমে উত্তরের দিকে এগোচ্ছে যানবাহন। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখী লাখো মানুষ। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা বেশি সংকটজনক।জানা গেছে, মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ি, সড়ক দুর্ঘটনা ও সেতুতে কিছু সময় টোল আদায় বন্ধ থাকায় গতকাল শুক্রবার ভোরে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট আরও বাড়ে, যা আজ শনিবারও অব্যাহত রয়েছে। শনিবার ভোরে মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মির্জাপুরের গোড়াইতেও গাড়ির ধীরগতি রয়েছে।আজ শনিবার সকাল ৮টায় মহাসড়ক পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইলের বাওইখোলা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শত শত যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। এসব যানবাহনে ভ্রমণকারী হাজারো যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ পথযাত্রায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয়র অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আসাদুজ্জামান নামে সিরাজগঞ্জগামী এক যাত্রী বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকার কল্যাণপুর থেকে রওনা হয়ে আজ সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের সল্লায় জ্যামে আটকে আছি। কখন বাড়ি ফিরতে পারব, সেটা জানি না। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টদায়ক পথযাত্রার অভিজ্ঞতা।মো. রকিব নামের আরেকজন জানান, গতকাল রাত ৮টায় ঢাকার উত্তর বাড্ডা থেকে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে একটি পিকআপে করে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা হন। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি টাঙ্গাইলের ক্ষুদিরামপুরে যানজটে আটকে আছেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও শিশুরা খুব কষ্টে আছে। গাড়ি থেকে নেমে যে কোথাও যাবো, সে উপায়ও নেই। ঈদে আমাদের বাড়ি যাওয়ার সাধ মিটে গেছে।বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, গতকালের মতো আজও সেতুর উভয় প্রান্তে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। রাতে এক পর্যায়ে এই যানজট সেতুর ওপরেও চলে আসে। এর ফলে বারবার বন্ধ হয়ে যায় সেতুর টোল আদায়। তবে সকালের দিকে এসে সেতুর ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়িগুলো পার হতে শুরু করেছে। কিন্তু সেতুর উভয় প্রান্তে তীব্র যানজট অব্যাহত রয়েছে।এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন,যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। সড়কে গাড়ির প্রচুর চাপ রয়েছে। করটিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য কাজ করছে।