ক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। দেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে ঈদে গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এ উৎসব পালন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়ি বা বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেতে ভ্রমণ শুধু আরামধায়ক নয়, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যপদ হতে হয়। ভেবেচিন্তে ভ্রমণে না করলে বিভিন্ন বিপদ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঈদের ভ্রমণে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন এ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
ঈদে অনেকেই বাড়ি যাওয়ার জন্য খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এজন্য ভ্রমণের সময় সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে। যারা ঈদে বাড়ি যাবেন, দূরের যাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেসব যানবাহন চলে সচেতন ব্যক্তি হিসাবে তা অবশ্যই পরিহার করবেন। এবার ঈদ হচ্ছে গরমের মৌসুমে। ভ্রমণের সময় প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে, এজন্য ট্রাভেল ব্যাগে পানি রাখতে হবে। শরীরে লবণশূন্যতা হতে পারে, তাই ভ্রমণ শুরুর আগে দু-একটা খাবার স্যালাইন সঙ্গে রাখা ভালো।ঈদের যাত্রায় সাবধান থাকতে হবে। যাত্রীরা অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে বসেন, এমনকি জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে হয়ে। সুতরাং এ ব্যাপারটি ভুলে গেলে চলবে না। যাত্রাপথে অপরিচিত কারও দেওয়া কিছু খাবেন না। কাউকে সন্দেহ হলে ভদ্রতার সঙ্গে এড়িয়ে চলবেন।
গ্রামের বাড়িতে গেলে ছোট শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। বাড়ির আশপাশে পুকুর-ডোবা থাকলে শিশুদের কিছুতেই একা ছাড়বেন না। বাড়ির বয়স্করা নিয়মিত যে ওষুধ সেবন করেন, তা পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিন ঈদ যাত্রায়। ফাস্ট এইড ওষুধ যেমন-খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, অ্যালার্জি প্রতিরোধক ওষুধ, আমাশয় ও হজম রিলেটেড ওষুধ আগে ভাগেই সংগ্রহ করে রাখা ভালো। যাতে কোনো সমস্যা হলে তার আসু সমাধান করা যায়। তবে সবার আগে প্রথমেই প্রি-জার্নি প্লানিং করে নিতে হয়। প্রি-জার্নি প্লানিংয়ে যা করতে হবে তা হলো-
* জার্নি শট না লং ডিসটেন্স হবে সেটা ভাবনায় রাখুন। সাধারণত ৪-৬ ঘণ্টার বেশি সময়ের জার্নিং লং ডিসটেন্স ধরা হয়।
* কী ধরনের খাবার জার্নিতে সঙ্গে নিতে হয়, পানি বা পানীয়ও কেমন হওয়া উচিত।
* পোশাকের ধরন কেমন হবে।
* হঠাৎ বা তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায় কী করণীয়।
* সুখকর ভ্রমণের জন্য কী করা যায়।
* রোগীরা জার্নি করলে কোনো বিশেষ দিক লক্ষ রাখতে হয় কি না।
এসব কিছুর সমাধান জেনেই জার্নি শুরু করতে হয়। লক্ষ রাখতে হবে, জার্নির স্ট্রেস বা স্ট্রেন যেন শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।