সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেনকষ্টার্জিত জয়ে ব্যবধান ৪-০ করল বাংলাদেশস্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশসকালে সন্ধ্যা নেমে এলো ঢাকায়, নামল স্বস্তির বৃষ্টিআগামী ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া
No icon

ঈদে পাহাড়-সমুদ্র টানছে পর্যটকদের

করোনা মহামারীর ব্যাপক বিস্তারে গত দুই বছর প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের পর্যটন খাত। কক্সবাজারের সাগর সৈকত, তিন পার্বত্য জেলার সবুজ পাহাড় কিংবা সিলেট মৌলভীবাজারের চা বাগান কিংবা সুন্দরবন, যেখানে সবসময়ই থাকত প্রকৃতির সৌন্দর্য পিপাসুদের সরব পদচারণা, সেখানে করোনাকালে এসব জায়গা হয়ে পড়েছিল পর্যটকশূন্য। দুই দফা লকডাউনের পর পর্যটন স্পটগুলো খুললেও ছিল নানা বিধিনিষেধ মেনে চলার বাধ্য-বাধকতা। কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নেই বিধিনিষেধের কড়াকড়িও। ফলে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আবার জমজমাট হতে শুরু করেছে পর্যটন স্পটগুলো। হোটেল-মোটেল, কটেজ রিসোর্টগুলোয় বেড়েছে বুকিং। যা স্বস্তির হাসি ফুটিয়েছে এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। তারা বলছেন, এবার ২৯ এপ্রিল থেকে টানা সাত দিনের সরকারি ছুটি আছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঈদের আনন্দ। তাই এই ছুটিতে পর্যটকদের আবার টানছে পাহাড়-সমুদ্র-বন-নদী। বিধিনিষেধ না থাকায় এবার পর্যটন স্পটগুলোয় পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কক্সবাজার :পর্যটকদের স্বাগত জানাতে এখন পুরোপুরি প্রস্তুত পর্যটন রাজধানীখ্যাত কক্সবাজার। হোটেল-মোটেলের ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। নতুন করে সাজানো হয়েছে হোটেল-মোটেল ও পর্যটন স্পটগুলো। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, ইনানি, পাটুয়ারটেক, সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধবিহার, দরিয়ানগর, খুনিয়া পালং পাহাড়তলী, শাহপরীর দ্বীপ, আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া, নাজিরারটেকসহ কক্সবাজারের সব পর্যটন স্পট এখন পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ আছে। কিন্তু তারপরও জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটের ব্যাপারে আমরা পর্যটকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

রাঙামাটি :অরণ্য, পাহাড়, ঝর্ণা আর হ্রদের শহর রাঙামাটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত আসন্ন ঈদে পর্যটকদের বরণ করে নিতে। ইতোমধ্যে পর্যটকদের আগমন ঘিরে নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসনসহ পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এরই মধ্যে আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন রাঙামাটি ও সাজেকের হোটেল, মোটেল, কটেজ। যা হাসি ফুটিয়েছে এই ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের মুখে। রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, লকডাউনে দুই দফা মারাত্মক অর্থনৈতিক মন্দা পার করেছি। ২৯ এপ্রিল থেকে টানা সাত দিনের ছুটিতে পর্যটন ব্যবসা চাঙ্গা থাকবে বলে আশা করছি।