আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আজ সর্বজনীন পেনশনের নিবন্ধন এক লাখ ছাড়াল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশমহাবিপদ এড়াতে এখনই সাজাতে হবে পরিকল্পনা ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ থাকবে আজ
No icon

ফিরে আসছে পুরোনো সংক্রামক রোগ

দেশে এখন চলছে গ্রীষ্ফ্মের তাপদাহ। চৈত্রের শুরু থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারা বৈশাখে এসেও অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে গ্রীষ্ফ্মকালীন রোগব্যাধিও। সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডায়রিয়া। চলতি বছর হঠাৎ করেই রাজধানীসহ সারাদেশে এর সংক্রমণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্বাস্থ্য বিভাগ কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।ডায়রিয়ার পাশাপাশি আবারও ফিরে এসেছে চিকেন পক্স বা জলবসন্ত, হিট স্ট্রোক, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ কয়েকটি পুরোনো সংক্রামক রোগ। স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষকে এখন করোনাভাইরাসের পাশাপাশি এসব রোগ মোকাবিলারও প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করে। ওই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত একক রোগ হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে ডায়ারিয়া। এই সময় সারাদেশে চার লাখ ৬১ হাজার ৬১১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন কক্সবাজার এবং অন্যজন লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা। এ ছাড়া রাজধানীর ২৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসার পথেই মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আইসিডিডিআর,বির এক কর্মকর্তা।

ডায়রিয়া আক্রান্ত শীর্ষ অঞ্চল ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ২৪৭ জন। এর পর আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন পর্যায়ক্রমে খুলনায় এক লাখ এক হাজার ৮১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫১ হাজার ৫৯৬ জন, রাজশাহীতে ৩৭ হাজার ৬০৩ জন, রংপুরে ৩৪ হাজার ৮১৯ জন, সিলেট বিভাগে ৩২ হাজার ৯৩৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২ হাজার ১৮৬ জন এবং বরিশালে ১১ হাজার ৪০৩ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, চলমান ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মুখে খাওয়ার টিকা বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় সংক্রমণপ্রবণ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ এলাকার ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা খাওয়ানো হবে। এসব এলাকার গর্ভবতী নারী ছাড়াও এক বছরের বেশি সব বয়সের মানুষ পরপর দুই মাস দুই ডোজের এ টিকা পাবেন। আগামী মে মাসে প্রথম ডোজ এবং জুন মাসে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। টিকা পেতে এসব এলাকার বাসিন্দাদের কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। টিকা গ্রহণের সময়সূচিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে জানাবে। প্রয়োজনে অন্যান্য এলাকার বাসিন্দাদের জন্যও এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।