আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আজ সর্বজনীন পেনশনের নিবন্ধন এক লাখ ছাড়াল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশমহাবিপদ এড়াতে এখনই সাজাতে হবে পরিকল্পনা ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ থাকবে আজ
No icon

দুদকের ৭০ শতাংশ অভিযোগই প্রমাণ করা যায়নি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৪ শতাংশ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়। আবার সেই চার শতাংশ অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে তার অন্তত ৭০ শতাংশ অভিযোগই প্রমাণ করা যায়নি। নিষ্পত্তি হয়েছে। যাকে দায়মুক্তি বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে ছিল তিনি নির্দোষ হিসেবে নিষ্কৃতি পেলেন। বাকি যে ৩০ ভাগ মামলা পর্যায়ে গড়ায় সেখান থেকে অর্থাৎ মামলা হওয়ার পরও ৩০ ভাগ মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। দুর্নীতির অনেক অভিযোগ আবার তদন্তের জন্য অন্যান্য সংস্থায় পাঠানো হয়, যার মধ্যে সম্পদের অভিযোগও রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন (২০২০-২০২১) পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি কমিশন ওই প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির হাতে হস্তান্তর করে। আংশিকভাবে ২০১৯ সালের কিছু তথ্য প্রতিবেদনে থাকলেও ২০২০ এবং ২০২১ সালের পূর্ণাঙ্গ তথ্য তাতে তুলে ধরা হয়। অভিযোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত নানা ধাপে দুদকের কর্মকাণ্ডের বিবরণ তাতে তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়- ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রতিকার চেয়ে দুদকে ৩৩ হাজার ২৭৮টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৪৮৯টি এবং ২০২১ সালে ১৪ হাজার ৭৮৯টি। ২০২০ সালে দাখিল হওয়া অভিযোগের মধ্যে দেশের মানুষ লিখিতভাবে অভিযোগ করেন ১১ হাজার ৯৫টি। সরকারি দপ্তর থেকে আসে ৫৮৭টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৭০টি, গণমাধ্যম থেকে নেওয়া হয় ১ হাজার ২২৪টি, দুদকের বিভাগীয় কার্যালয় হতে আসে ১ হাজার ৪৯৭টি, দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের মাধ্যমে ৯৬১টি এবং ইমেইলসহ ডিজিটাল মাধ্যমে আসে ২ হাজার ৭৭৩টি। অপরদিকে ২০২১ সালে জনসাধারণের কাছ থেকে সরাসরি ৮ হাজার ৯০৯টি অভিযোগ আসে। সরকারি সংস্থা থেকে আসে ৫৪২টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ২৯৭টি, গণমাধ্যম থেকে নেওয়া হয় ৯৪৩টি, দুদকের বিভাগীয় কার্যালয় থেকে আসে ১ হাজার ১২৭টি, দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছ থেকে আসে ১ হাজার ৪২টি এবং ইমেইলসহ ডিজিটাল মাধ্যমে আসে ১ হাজার ৯৩০টি। এর বাইরে কিছু অভিযোগ পাওয়া যায় দুদকের হটলাইন থেকে।