থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রীহিট অ্যালার্টেও স্কুল, নগণ্য উপস্থিতির অনেকে অসুস্থদুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজ
No icon

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় একসঙ্গে দুটি ব্যাচে আট সাবজেক্টে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন,আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানি। কিন্তু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই জানাটা অনেকটা গোছানো আকারে রূপ নেয়। এ কারণে এটি আমার আগ্রহের জায়গা। আজকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম, এটা শুধু অতিমারির সময়েই করতে হবে তা নয়। আমরা একটি স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে গেলেও অনলাইন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। কারণ আগামী দিনগুলোতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী থাকবে যারা আমাদের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত থাকবে। তারা হয়তো সশরীরে ক্লাসরুমে আসতে পারবে না। এ কারণে আমাদের ব্লান্ডেড এডুকেশনে থাকতে হবে। তাই ব্লান্ডেড এডুকেশনের জাতীয় নীতিমালা আমরা তৈরি করছি।

তিনি বলেন, ইউজিসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যরাও যুক্ত আছে। এ কারণেই সব সংকটের মধ্যেও অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়। এই অতিমারির সময় আসলে তা-ই হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই সংকটকালেও দেশব্যাপী যে কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছে সেটি উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আশা করব, দেশব্যাপী এই উদ্যোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেও কাজে লাগবে।সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষকরাই আমাদের অনুপ্রেরণার আসল জায়গা। এ কারণে আমরা উদ্যোগ নিতে চাই দ্রুত আইসিটি এবং প্যাডাগোজি প্রশিক্ষণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে। যাতে দেশের প্রায় সকল শিক্ষককে আমরা এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। সারা দেশে ১২২টি কেন্দ্র আমরা তৈরি করতে চাই। এর মাধ্যমে আশা করি একটি পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে, সেটি মোকাবেলা করে আমরা যতটুকু চেষ্টা করছি, সেটির সর্বোচ্চ ব্যবহার যদি আপনারা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে আমরা প্রতিবন্ধকতাগুলো জয় করতে পারব। এর মধ্য দিয়ে আমূল পরিবর্তন আগামী অল্প সময়ের মধ্যে না দেখতে পেলেও আমরা যে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়নমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাই, সেটিতে দেখতে পাব।