দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলবিএনপির আরও চার নেতাকে বহিষ্কারবিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল রিলাক্স পরিবহনের বাস, নিহত ৫ আহত ১৫
No icon

ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের

হ্যামিল্টনে ভারতের বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে ১১০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ২৩০ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাব দিতে নেমে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।উইকেটটা এমনিতেই স্লো ছিল। ভারতের বোলাররা ছিলেন শক্তিশালী। এর মধ্যে দুয়েকজন বল করেছেন আরও স্লো। রান তুলতে তাই বাংলাদেশকে করতে হয়েছে বেশ কষ্ট। মাঝে ব্যতিক্রম হয়ে থেকেছেন সালমা খাতুন। ইন্টেন্ট ছিল, শটও খেলেছেন। কিন্তু একার লড়াইয়ে আর কতটুকু যাওয়া যায়!

ভারতকে জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে কেবল ১২ রান। এই চাপের মধ্যে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন শারমিন আক্তার। গায়কোয়াডের অফ স্টাম্পের বাইরের বল প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা স্নেহা রানার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।তিন নম্বরে খেলতে নামা ফারজানা হককেও বেশ কিছুক্ষণ ভুগতে হয়। ১১ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি তিনি। পূজা বস্ত্রাকারের বলে এলবডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ফারজানা। অধিনায়ক নিগার সুলতানাও ১১ বলে ৩ রান করে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান।এর মাঝে এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ছক্কা হাঁকান মুর্শিদা খাতুন। এই ওপেনার ৫৪ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের পক্ষে এরপর হাল ধরেন সালমা খাতুন ও লতা মণ্ডল।

দুজন মিলে ৪০ রানের জুটি গড়েন। ৪ চারে ৩৫ বলে ৩২ রান করে সালমা আউট হলে এই জুটি ভেঙে যায়। ঝুলি গোস্বামীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৪৬ বলে ২৪ রান করে ফেরেন লতা মণ্ডল।এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন ভারতের দুই ওপেনার। মারমুখী শেফালি ভার্মা জাহানারা আলমের এক ওভারেই হাঁকান তিন চার। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন ধীরে ধীরে ফসকে যাচ্ছে তখনই বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান নাহিদা আক্তার।তার শট বল পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন স্মৃতি মান্দানা। ৩ চারে ৫১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। পরের ওভারের তৃতীয় বলেই ভয়ংকর হতে থাকা শেফালিকে ফেরান রিতু মণি।এগিয়ে এসে তার বল খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। ৪২ বলে ৪২ রান করেন শেফালি। এরপর মিতালি রাজকে একেবারেই শূন্য রানেই সাজঘরের পথ দেখান রিতু।ইয়াশকিতা ভাটিয়ার সঙ্গে এরপর ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেছিলেন হারমানপ্রিত কার। কিন্তু তাকে দুর্দান্তভাবে রান আউট করেন ফারজানা হক। ৩৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি। তার সঙ্গী ভাটিয়া অবশ্য তুলে নেন ফিফটি।