যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র ফরম্যাটে কিউইবধ করলো লাল-সবুজের দল। সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে আটকে দিয়ে ৩০ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় সাকিব-মুশফিকরা। এর আগে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণে শেষ দশবারের দেখায় প্রত্যেকবারই হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে থাকলো টাইগাররা।বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো নিউজিল্যান্ডের। সফরকারীদের ৬০ রানে অলআউট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিউইদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা দেয় বাংলাদেশ। এর আগেও তাদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৬০, সেটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন প্রতিপক্ষের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও এটা। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও এটা কোন দলের সর্বনিম্ন স্কোর।

৬১ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে সাবধানী খেলেন টাইগার দুই ওপেনার লিটন-নাঈম। কিন্তু পরের ওভারেই আত্নাহুতি দেন নাঈম শেখ। ১ রান করেই ম্যাকনকির শিকার হন তিনি। নাঈমের বিদায়ের পর স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরেন লিটন। প্যাটেলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হন তিনি। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাকিব আর মুশফিক মিলে সাবধানী খেলে স্কোর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন। কিন্তু মুশফিকের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েই রবীন্দ্রর প্রথম শিকার হন সাকিব। ৩৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ৩০ বল হাতে রেখে জেতে বাংলাদেশ। ১৬ রানে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই মেহেদী হাসানের হাতে বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন প্রথম ওভারেই। ম্যাচের তৃতীয় বলেই কিউই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান তিনি। অভিষেকেই গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হন তিনি।