যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশতানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়
No icon

আরসার বিরুদ্ধে একজোট সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠী

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ক্রমেই দেশের জন্য বড় ধরনের বিষফোড়া হয়ে উঠেছে। প্রায়ই সেখানে খুনাখুনি ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুনাখুনিতে জড়াচ্ছে মিয়ানমারকেন্দ্রিক বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। সর্বশেষ শুক্রবার উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, নিহতরা সবাই মিয়ানমারভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য। এ ছাড়া পৃথক ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আরও এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে একক আধিপত্য চালিয়ে আসছিল আরসা। তবে কিছুদিন ধরেই উখিয়ায় আরসাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আরও অন্তত চারটি সশস্ত্র গ্রুপ। একাট্টা হয়ে তারা আরসার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। এ গ্রুপগুলো হলো মিয়ানমারের আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, মুন্না বাহিনী ও নবী হোসেন গ্রুপ। এখন যে কোনো মূল্যে এই গ্রুপগুলো আরসার আধিপত্য খর্ব করে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এ পরিস্থিতিতে ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ অনেক রোহিঙ্গা মনে করছে, সিক্স মার্ডারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে আরসা। তারাও যে কোনো মূল্যে ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইবে।

একাধিক রোহিঙ্গা মাঝির (রোহিঙ্গা নেতা) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিবদমান সব গ্রুপের সদস্যদের হাতে অস্ত্র রয়েছে। কোনো বিরোধ দেখা দিলেই তারা হুটহাট অস্ত্র ব্যবহার করছে। এতে প্রাণহানি ঘটছে। আবার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ক্যাম্পের মাঝিদের টার্গেট করে হত্যা করছে। তারা মনে করছে, মাঝিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করছে।নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, ক্যাম্পে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্যের লড়াই রয়েছে। বিদেশি অনেক গোয়েন্দা সংস্থা কাউকে কাউকে ইন্ধন দেয়। কিছু সশস্ত্র গ্রুপ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি কাজ করে। কারণ, বাংলাদেশের মাটিতে যতদিন রোহিঙ্গারা অবস্থান করবে, ততদিন তাদের লাভ। যেসব গ্রুপ ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তারা সাধারণ রোহিঙ্গাদের মতপ্রকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও নিবিড়ভাবে ক্যাম্পের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা জরুরি।