জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০, সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা নির্ধারণসৌদিতে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ বৈঠক করবে ইউক্রেনবিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে গেলেন মাহমুদউল্লাহবনানী সড়কের অবরোধ তুলে নিলেন পোশাকশ্রমিকরাকঙ্গোয় নৌকাডুবিতে নিহত অন্তত ২৫
No icon

৬৪ জেলায় সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির

দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মাঝে মাঠে নামছে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬৪টি জেলায় সমাবেশ করবে দলটি। এই কর্মসূচি সফল করতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে কোন জেলা ও মহানগরে কবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, সংশ্লিষ্ট জেলা কোন কেন্দ্রীয় নেতা সমন্বয় করবেন তা দলের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজকালের মধ্যে এই সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হবে।? এতে দশজন বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালে যুক্ত থাকবেন তারেক রহমান। গত মাসে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় রাজপথে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।গতকাল নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিস্টদের নানা চক্রান্তের মোকাবিলাসহ

বিভিন্ন দাবিতে জেলায় জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এই কর্মসূচি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে রমজান শুরুর আগেই শেষ হবে। জেলার পর মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সভা-সমাবেশ করা হবে।সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, হাসিনার ফ্যাসিস্টদের সহযোগীরা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রয়েছে। ৫ আগস্টের পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারেনি এমন লোকদের চিহ্নিত করতে না পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সফল হওয়া কঠিন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল পদক্ষেপ সবার কাছে সাফল্য হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে, কিন্তু এই সরকারের ব্যর্থতা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা হিসেবেই পরিগণিত হবে। এ কারণে বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়।রুহুল কবির রিজভী বলেন, কিন্তু সরকার নিজেদের সফল দেখতে চায় কিনা এটিও ভাবার বিষয়। সরকারের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপে কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাদ দিয়ে জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা লাঘবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, দুর্নীতির মাফিয়াচক্রের অন্যতম হোতা পলাতক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ষড়যন্ত্রমূলক সভা করছেন। একটি সভায় তিনি বলেছেন, পুলিশের ও প্রশাসনের ৯০ ভাগই আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে প্ল্যান করা হচ্ছে। গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নজিরবিহীন দুর্নীতির মহাখলনায়ক বেনজীর আহমেদরা। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পরও প্রশাসন নির্বিকার।রিজভী বলেন, পুলিশের গাড়ি থেকে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যাকারী আওয়ামী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যতটা কঠোর হওয়ার দরকার ছিল, তার বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।রিজভী জানান, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৫৭২ জন নেতা ও দোসরদের জামিন হয়েছে। ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডিবি অফিসে নিয়ে ৬ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিন দিনেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের সিন্ডিকেটের প্রধান এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক।রিজভী বলেন, গণহত্যার মামলার আসামিরা কীভাবে জামিন পাচ্ছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাই আমরা সরকারের কাছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানো অপরাধীদের কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, সেটিও জানতে চাই।ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার সঠিক বিচার না হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই গণহত্যার বিচার হতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ।