রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে তৈরি পোশাক খাতঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহপ্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশুস্কুল-মাদ্রাসা খুলছে আজ, বন্ধ থাকছে ২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানআজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
No icon

কর্মসূচিতে ভিন্নতা আনবে বিএনপি

নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছে না বিএনপি। দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে। সে ক্ষেত্রে জনসাধারণের স্বার্থ বিবেচনা করে আন্দোলনে ভিন্নতা আনা হতে পারে।গত ২৮ অক্টোবরের পরের দিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। এরপর মঙ্গলবার থেকে চলে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্র্মসূচি। এরপর নতুন করে আগামী রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।বিএনপির ভাষ্য, দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য, তিন যুগ্ম মহাসচিব, মিডিয়া সেলের প্রধানসহ গত ২৪ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ৮৪৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের ঘটনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা মনে করেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে মুক্তি দেওয়া হবে না। এ অবস্থায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প দেখছে না দলটি। আন্দোলন প্রসঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা বলেন, নেতাকর্মীদের যতই গ্রেপ্তার করা হোক, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় অন্তর্বর্তী নিরপেক্ষ সরকারের

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি।

দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি, ক্ষমতাসীনরা বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন গোপন বৈঠক করছেন। গণভবনে শলাপরামর্শ হচ্ছে, কীভাবে জনগণের নির্ভীক-সাহসী লড়াই নির্মূল করা যায়। আমরা মনে করি, এতে লাভ নেই। কারণ, দেশের জনগণ দাবি আদায়ে হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে গত বুধবার থেকে দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনকাল শুরু হয়েছে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ভোট হতে পারে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।এদিকে বিএনপির অধিকাংশ নেতা বাড়িতে থাকতে পারছেন না। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তার ও আত্মগোপনে নেতৃত্বে শূন্যতা সৃষ্টি হয় কিনা, তা নিয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান মনে করেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়াও এর শক্তি হচ্ছে দলের মধ্যম ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা এবং তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।